লোকসভা ভোটের আগে পেনশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সামনে এলো। দীর্ঘদিন ধরে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কলকাতার রাজপথে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ভোটের ডিউটি নিয়েও একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে টালবাহানা। এরই মাঝে রাজ্যের স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের জারি হল নতুন নির্দেশিকা। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল। রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকা দেখে রাতের ঘুম উড়েছে শিক্ষকদের। তবে কি রয়েছে সেই নির্দেশিকাতে? স্কুল শিক্ষিকদের বা ভলেন্টিয়ারদের অবসরের বিষয়ে এসেছে নয়া নিয়ম। রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোন কর্মী যদি স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চান তাহলে তাদের নির্দিষ্ট আবেদন জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের কাছে। এখানেই শেষ নয়। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রথমে স্কুলে আবেদন জানালে সেই আবেদনের ভিত্তিতে স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। তারপর তা যাবে জেলা পরিদর্শকের কাছে। সেখান থেকে সবশেষে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে স্বেচ্ছাবসরের আবেদনপত্র পৌঁছাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। প্রসঙ্গত, এতদিন কোন কর্মী স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চাইলে পর্ষদের কাছেই সরাসরি আবেদন জানাতো। পর্ষদেই তা গ্রাহ্য হত। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদন জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলে। তারপর তা জেলা পরিদর্শক এর কাছ থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে যাবে। অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাবসরের যে সুবিধা গুলি আছে তা শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের দেওয়া হয় না। সাধারণ পেনশনের ক্ষেত্রে ষাট বছর অবসর গ্রহণের পরের দিন থেকে আগামী সাত বছর পর্যন্ত সেই কর্মী পেনশন পেত। এবং এই সাত বছরের মধ্যে যদি সেই কর্মীর মৃত্যু হয় তাহলে ওই সময়কালের জন্য ওই কর্মীর পরিবারের লোকেরা পেনশন পেতেন। এক্ষেত্রে কেউ যদি ৫৫ বছর বয়সে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে সময়সীমা হবে ৬২ বছর পর্যন্ত। প্রক্রিয়াটিকে স্বেচ্ছাবসর না বলে প্রাক-অবসর বলাই শ্রেয় বলে মনে করে শিক্ষকদের একাংশ।
Discussion about this post