বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার অন্তর্গত খরুণ গ্রামের মালপাড়া যেন আজ এক পিপাসার দ্বীপ। প্রায় দেড় মাস ধরে গ্রামে থাকা একমাত্র জলের কলটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘ দেড় মাসের জলসংকটে ক্ষুব্ধ হয়ে বীরভূমের মালপাড়ার মহিলা গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার অন্তর্গত খরুণ গ্রামের মালপাড়া যেন আজ এক ‘পিপাসার দ্বীপ’। প্রায় দেড় মাস ধরে গ্রামে থাকা একমাত্র জলের কলটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। তার আগে থেকেই এলাকার একমাত্র সংসারিক মোটরটিও ছিল অকেজো। একটিকে না ঠিক করেই আরেকটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানীয় জলের চরম সংকটে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বারবার জানানো সত্ত্বেও জনপ্রতিনিধিরা কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বসতবাড়ির মোটর দীর্ঘদিন ধরে খারাপ থাকলেও নতুন একটি মোটর বসানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু সেটি বসাতে গিয়ে সেটি পাথরের তলায় পড়ে যায়। প্রায় এক মাস কেটে গেলেও সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষদের এখন পাশের পুকুরের দূষিত জল ব্যবহার করতে হচ্ছে। রান্না থেকে শুরু করে পান করার জল পর্যন্ত পুকুর থেকেই সংগ্রহ করতে হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক। বিশেষত মহিলাদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ—দূরদূরান্ত থেকে কলসি করে জল আনতে হচ্ছে প্রতিদিন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভোটের সময় যেসব জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি ছড়ান, এখন তাঁদের আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বিকল কলটি মেরামত করে সচল করতে হবে এবং অকেজো মোটরটির দ্রুত প্রতিস্থাপন করতে হবে।
প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালপাড়ার সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি—জল কোন বিলাসিতা নয়, এটা মৌলিক অধিকার।
বীরভূম থেকে অরিন্দম দে নিউজ বর্তমান
Discussion about this post