হাতে দুটো সুটকেস। পরনে শাড়ি। তাঁর সঙ্গে আর এক মহিলা। শাড়ি পরা সেই মহিল গাড়িতে উঠছেন। দৃশ্যটার কথা হয়তো অনেকের মনে আছে। ৫ অগাস্ট। বাংলাদেশ থেকে এভাবেই পালিয়ে আসতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। ভারতে আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। তারপর কেটে গেছে ১০০ টা দিন। ভারতে কড়া নিরাপত্তায় রয়েছেন এখনও। এদিকে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি ভারতে চলে আসার পর বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনে বিপুল রদবদল আসে। সেই দেশের ক্ষমতাভার এখন মহম্মদ ইউনুসের হাতে। তিনিই অন্তর্বতী সরকারের প্রধান। শেখ হাসিনা যখন ভারতে পা রাখেন, দিল্লির বিশ্বাস ছিল তার এই আসাটা একেবারেই সাময়িক হবে। ইউরোপ কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে যাওয়ার আগে এটা একটা সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি হবে বলেই মনে করেছিলেন ভারত। শেখ হাসিনার তৃতীয় কোনও দেশে পাড়ি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠার পর ভারত সরকার তাকে হিন্ডন থেকে সরিয়ে আনে দিল্লির কোনও গোপন ঠিকানায়। পরে তাকে হয়ত দিল্লির কাছাকাছি অন্য কোনও সুরক্ষিত ডেরাতে সরিয়েও নেয়া হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে ভারত সরকার আজ পর্যন্ত কোনও তথ্যই প্রকাশ করেনি। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর শোনা যায়, তিনি ব্রিটেন যেতে চেয়েছিলেন। সেখানে তাঁর আত্মীয় রয়েছে তাই। তবে ভারতে আসার পর থেকে এখানেই রয়েছেন বলে খবর। তবে তিনি কতদিন ভারতে থাকবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার পর বাংলাদেশে কিছুটা হলেও হাসিনা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের সমর্থনে পথে নেমেছেন অনেকে। আওয়ামি লিগের তরফে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে ট্রাম্পকে। বর্তমান সরকারের নিন্দা করেছে সংখ্যালঘুরা। বিবিসি বলছে, শেখ হাসিনার চলাফেরা কিংবা অন্যদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত যে পুরোপুরি বন্ধ নয় তার ইঙ্গিত ওই কর্মকর্তার কথাতেই ছিলো। শেখ হাসিনাকে যাতে কোনোভাবেই প্রকাশ্যে আসতে না হয় এই প্রোটকলে সেই চেষ্টাও বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সাদা পোশাকে নিরাপত্তাকর্মীরা রয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল। শেখ হাসিনা দুই মাসের বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেখানে তার থাকার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। যথাযথ প্রটোকলসহ হাসিনা মাঝেমধ্যে পাশের লোধি গার্ডেনে হাঁটতে যান বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। এক প্রতিবেদন জানায়, ‘বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের জানানো হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, যিনি শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নিয়েছিলেন। যদিও কয়েকঘন্টার সেই শাসনকাল এখন রাজনৈতিক আলোচনার...
Read more
Discussion about this post