আজ, বুধবার মহালয়া। তার আগে মঙ্গলবার এ বছরের শারদোৎসবের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোমণ্ডপে যান মুখ্যমন্ত্রী, সকলকে শাম্তিতে উৎসবে সামিল হতেও বললেন। কিন্তু, তার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় রয়েছে রাজ্যের প্লাবিত এলাকাগুলির দুরবস্থা। তাই এই উৎসবের মরশুমে দুর্গতদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘আমরা যতই আধুনিক হইনা কেন। পাঁজি কিন্তু সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারা দেখেই স্থির হয়। আমি নাম দিয়েছি উৎসব উৎসারিত। আবার অনেকে বলবেন, আমি পিতৃপক্ষতে পুজো উদ্বোধন করেছি৷ মমতা বন্দোপাধ্যায় এত বোকা নয়৷ ধর্ম সম্পর্কে আমার আইডিয়া আছে। ডিভিসির জলে দক্ষিণবঙ্গ ভেসেছে৷ উত্তরে ভেসেছে কোশির জলে। সেবা করাই আসল ধর্ম। এটাই আসল পুজো। আগামীকাল ফারাক্কা, সুতি, কান্দিতে আরও ত্রাণ যাবে৷ শুকনো খাবার ও বাচ্চাদের জামাকাপড় পাঠানো হচ্ছে৷ পরিমাণমতো জল খাওয়ার জন্য পাঠানো হচ্ছে।’ এ দিন পুজো অনুদানের প্রসঙ্গও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘প্রায় ৫০ হাজার ক্লাবকে উৎসাহ দান করেছি। আমি অনুদান বলিনা। এই টাকায় কি হবে অনেকে বলেন। বিদ্যুতের বিল এতে হয়। আর সেই কারণেই বাংলার পুজো সমাদৃত বিশ্বজুড়ে।’ গত বছর অভিযোগ উঠেছিল, মহালয়ার আগে থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শাস্ত্রের নিয়ম দেখিয়ে কেউ কেউ দেবীপক্ষের আগেই পুজোর উদ্বোধন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মনে করা হচ্ছে সেই বিতর্ক এড়াতেই এ বার সুনির্দিষ্ট ভাবে পিতৃপক্ষে পুজোর উদ্বোধন না করার প্রসঙ্গ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমানবন্দর লাগোয়া শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবে পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। শ্রীভূমির পুজো মানেই উপচে পড়া ভিড়। অদূরে এয়ারপোর্ট। এবার যাতে পুনরায় যানজট পরিস্থিতি না হয়, সেদিকে বাড়তি নজরের পরামর্শ দেন মমতা।
দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। এই সফরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের...
Read more
Discussion about this post