আরজি কর কাণ্ডের প্রথম দিন থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। আদালতের নির্দেশ মতোই, সশরীরে আদালতে হাজিরা দিলেন সন্দীপ ঘোষ-সহ চার ধৃত । নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হয় সন্দীপ ঘোষদের । যদিও, এদিন ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করেছিল সিবিআই। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আলিপুর আদালত।
সিবিআই তাঁদের ভার্চুয়াল শুনানি করতে চেয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সন্দীপ ঘোষ সহ বাকিদের সশরীরেই আদালতে পেশ করাতে হবে। কোনও ভার্চুয়াল শুনানি হবে না তাঁদের। উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর যখন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে আদালতে হাজির করেছিল সিবিআই, তখন আদালতের সামনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সন্দীপকে আদালত থেকে বার করার সময়েই শুরু হয় গোলমাল। ‘চোর চোর’ চিৎকার করে একদল মানুষ সন্দীপের দিকে এগিয়ে যায়। লেগে যায় হুড়োহুড়ি। সেই সময়েই কোনও এক জন সন্দীপের মাথায় পিছন থেকে চাঁটি মারেন বলেও অভিযোগ। তাই নিরাপত্তার অভাব বোধ করতে থাকেন সন্দীপ ঘোষ। সেই মর্মেই আদালতে আবেদন করা হয়। যদিও সেই আবেদন প্রথমে খারিজ করে দেন বিচারক।
এদিকে, সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর দেহরক্ষীকে। আর সেই কারণেই সারা হাসপাতালজুড়ে দাপট দেখাতেন আফসার আলি। এমনকী, রোগী ভর্তির চক্রের সঙ্গেও ওই দেহরক্ষী যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। তবে কয়েক বছর আগে থেকে সন্দীপ ঘোষের মদতে আফসার আলি আর জি করে বেশ কিছু কাজের বরাত পেতে শুরু করেন। দেহরক্ষী থেকে রীতিমতো ব্যবসায়ী হতে শুরু করেন আফসার। আফসার ছাড়া আরও দুই ভেন্ডার বিপ্লব সিং ও সুমন হাজরাকেও প্রচুর কাজের বরাত দিতেন সন্দীপ।
Discussion about this post