নৈহাটি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই তো বটেই চতুর্মুখী লড়াই হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ দিকে নাম ঘোষণার পর তৃণমূল-বিজেপির দুই প্রার্থীই প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছেন। নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে নৈহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা তৃণমূল কাউন্সিলর সনৎ দে কে মনোনীত করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই নৈহাটির ঐতিহ্যবাহী বড়মার মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি। তার সাথে মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় ও তার দলীয় কর্মী সমর্থকরা। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘নৈহাটির মানুষ তৃণমূলকেই প্রথম হিসাবে বেছে রেখেছে। জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত’। পাশাপাশি, নৈহাটি বিধানসভার নির্বাচনে তাকে মনোনীত করার জন্য দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান তিনি। লক্ষ্য নৈহাটির উন্নয়ন। ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের পরামর্শ নিয়েই নিজের কাজের রূপরেখা স্থির করবেন বলে জানান সনৎ দে। এ বিষয় সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে প্রার্থী হিসেবে বেছেছেন, তাঁকেই সমর্থন করবেন মানুষ।
উল্লেখ্য, ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে এই আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন পার্থ ভৌমিক। এরপর ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হন তিনি। ফলে, বিধায়কশূন্য হয়ে পড়ে নৈহাটি বিধানসভা আসনটি।আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হতে চলেছে নৈহাটি সহ মোট ছটি আসনে. তালডাংরা, মাদারিহাট, সিতাই, হাড়োয়া, মেদিনীপুরেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে শাসক বিরোধী দুই দলই। নৈহাটিতে বিজেপি প্রার্থী করেছে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক রূপক মিত্রকে। শেষ পর্যন্ত কাকে বেছে নেন নৈহাটির মানুষ, সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।
Discussion about this post