২০২৪ সাল ৯ আগস্ট কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য যেন এক কালো রাত্রি। আর জি কর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে কর্মরত এক জুনিয়র ডাক্তার কে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে, যদিও এই তথ্য মেনে নিয়েছে প্রশাসন, আর তারপরেই তদন্ত ভার কলকাতা পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে চলে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর হাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আর এই ঘটনার ৪১ দিন পর সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দপ্তরে তলপ করা হলো মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। সিজিও কম্প্লেক্সের প্রবেশ করার সময় মীনাক্ষী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান তদন্তের স্বার্থে ডাকা হয়েছে তিনি দোষীদের শাস্তির জন্য তদন্তের সাহায্য করতে এসেছে।
তবে প্রশ্ন এই তদন্তে তার ভূমিকা কোথায়?
সিবিআই অফিস থেকে বেরোনোর সময় তদন্ত বিষয় এবং তাকে তলক করার কারণ হিসেবে তিনি জানায়। ৯ ই আগস্ট রাত্রিবেলা যে সময় পুলিশ তড়িঘড়ি তিলোত্তমার মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত ঠিক সেই সময় বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী সেই গাড়ি আটকে সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দিচ্ছিলেন। দাবি ছিল পুনরায় জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি অনুযায়ী ময়নাতদন্ত করা হোক এবং পাশাপাশি পরিবারের লোকের সাথে তারা জানি দেখা করতে পারে। তবে পুলিশ তাকে সরিয়ে দেয় এবং অবশেষে মৃতদেহ নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয় পুলিশি নিরাপত্তা সহকারে। তবে সেই রাতে সেই সময় কি কি ঘটেছিল তা জানতেই আজকের এই তলব এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান
তদন্তের স্বার্থে ডাকা হয়েছে আমি সহযোগিতা করেছি। এবং পাশাপাশি অভিযোগ তোলেন যেভাবে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং হামলা করা হচ্ছে তাদের উপর এইভাবে আন্দোলন থামাতে পারবে না। পুনরায় তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় সিবিআই এর তদন্তের উপর কি ভরসা রয়েছে সেই সময় তিনি বলেন, তদন্ত সঠিক দিকে এগুচ্ছের জন্যই আমাদের ডাকা হয়েছে এবং আমরা সহযোগিতা করছি। অর্থাৎ কোথাও গিয়ে কি তদন্তের উপর ভরসার সুর বেধেছে মীনাক্ষী?
অন্যদিকে অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের উপর যদি কোন রকম হামলা করা হয় অথবা তাদের ধর্ম মঞ্চের টেন্ট অথবা কোনরকম সেখানে হামলা হয়। সাধারণ মানুষ ছেড়ে দেবে না আন্দোলন আরো জোরালো হবে। এবং তার পাশাপাশি হুশিয়ার দিয়েছে যারা এই আক্রমণ চালাচ্ছে তারা যাতে ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ গ্রহণ করে কারণ তাদের বিরুদ্ধে আইনি পথে লড়াই হবে এবং লড়াইয়ের ময়দানেও লড়াই হবে এমনটাই হুঁশিয়ারি মিনাক্ষীর মুখে।
মুখ্যমন্ত্রীর সাথে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক বিষয়ে এবং রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের ভূমিকায় মীনাক্ষী প্রশ্ন তোলেন, কিসের ব্যবস্থা? দোষীরা শাস্তি পেল? ধর্ষক শাস্তি পেল? খুনিরা শাস্তি পেল? যারা তথ্য প্রমাণ লুট করেছে তারা শাস্তি পেল? তাহলে কিসের ব্যবস্থা হচ্ছে? কোন সমাধানের পথে এগোচ্ছে? এবং রাজ্য পুলিশকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন রাজ্য পুলিশ তত্ত্ব প্রমাণ লুট করেননি? কারা আটকাচ্ছে দোষীদেরকে শাস্তি পাওয়ার থেকে আটকাচ্ছে? কাদের ভয় লাগছে?
এবং সরকারের তরফ থেকে যে অভিযোগ তোলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে বিগত আন্দোলনের জন্য অনেক অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা পায়নি এবং অনেকে মারা গেছেন সেই বিষয় নিয়ে মিনাক্ষি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বলেন। ২০১৮ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের হেলথ ডিপার্টমেন্টের কোন ডেটা আছে? কোন ডেটা আপলোড হচ্ছে তাদের ডেটা সেন্টারে? এবং সবশেষে তিনি বলেন আমরা প্রথম দিন থেকে রাস্তায় আছি, এবং ভারতবর্ষের প্রতিটা মানুষের মতন আমরাও চাই দোষের শাস্তি পাক।
Discussion about this post