সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের মিথ্যাচার। বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনুস। আর যুক্তরাজ্যে উপস্থিতও রয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। কিন্তু সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যাচার করে গেলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তার দাবি এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে উপস্থিত নেই প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। আসল সত্যটি কী? কেনই বা এই মিথ্যাচার অন্তরবর্তী সরকারের? কী আড়াল করার চেষ্টা তাদের?
বর্তমানে লন্ডন সফরে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রেস সচিব। সেখানে গিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রেস সচিব শফিকুল আলম একপ্রকার মিথ্যাচার বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। কারণ সাংবাদিকরা সচিব শফিকুল আলম প্রশ্ন করলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস এর বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কিনা? যদিও প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল এই বৈঠকটি তার লন্ডন শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ অর্থাৎ এই বৈঠকটি হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে এসে যখন বৈঠকের কোন সম্ভাবনা তৈরি হলো না তখন সে প্রশ্নের উত্তরে সচিব বললেন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার লন্ডনে নেই তিনি কানাডা গিয়েছেন। তবে কি ইচ্ছাকৃত তাদের সম্মান রক্ষার্থে মিথ্যে বললেন শফিকুল আলম।
অর্থাৎ প্রেস সচিবের তরফ থেকে যে সঠিক তথ্য প্রেরণ করা হয়নি সেই দাবির সত্যতা হিসেবে বেশ কিছু প্রমাণ তুলে ধরছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, যেমন যেই মুহূর্তে প্রধান ও প্রতিষ্ঠানের সচিবের তরফে জানানো হয় দেশে নেই তিনি হয়তো লন্ডনে গিয়েছেন ঠিক সেই সময়ে দেখা গিয়েছে, কেয়ার স্টারমার তার কার্যালয় বসে গত আগস্টে যুক্তরাজ্যের সাউথপুল এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছিল বেশ কিছু শিশু আর ওই নিহত শিশুর পরিবার গুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করছিলেন, ও অর্থ সাহায্যের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করছিলেন। আবার ওই দিনই অন্য একটি অনুষ্ঠানে স্কাই নিউজের পলিটিকাল এডিটর প্রধানমন্ত্রী স্টার মার এর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন এবং চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন, যুক্তরাজ্যের জ্বালানি ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত। আবার ১১ ই জুন যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগের বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে আর সেই বাজেট নিয়ে পর্যালোচনা করে বিভিন্ন ব্যয়ের খাত তুলে ধরেন সেদেশের অর্থমন্ত্রী হাউজ অফ কমন্সে তিনি এই বিষয়ে পর্যালোচনা করেন। আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর দেখা গিয়েছে এদিন অর্থমন্ত্রীর ডান পাশেই বসেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তার মার। অর্থাৎ এই বিভিন্ন ধরনের প্রমাণগুলিই যথেষ্ট তারমানে দেশে থাকার বিষয়টিকে স্পষ্ট করার ক্ষেত্রে।
আপনাদের এখানে প্রশ্ন উঠছে কোন উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ ইউনুস এর প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানালেন যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী সে দেশে উপস্থিত নেই। এমনকি তিনি জানিয়েছেন সেই দেশের একজন এমপির তরফ থেকে এই খবরটি পেয়েছেন তিনি । আর প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকার কারণেই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার বৈঠক এখনো পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি এমনটাই বোঝাতে চেয়েছেন শফিকুল আলম। পাশাপাশি, তিনি এও বলার চেষ্টা করেছেন যে যদি স্টারমার দেশে ফিরে আসেন তবে হয়তো সময় সিডিউল মিটিয়ে এই বৈঠক সম্পন্ন হতে পারে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে। অর্থাৎ এক প্রকার নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে এই মিথ্যাচার অন্তর্ভুক্তি সরকারের তা বলাই বাহুল্য।
Discussion about this post