বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে একের পর এক ঘটনা। যা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে কেউ কেউ বলছে, যত না ঘটছে, তত বেশি গুজব রটছে। কারণ কেউ কেউ বলছিল, বাংলাদেশে গোপনে হয়ে গিয়েছে সেনা অভ্যুত্থান। আবার কেউ বলছিল, সেনাপ্রধান কিছু সেনা কর্তাকে নাকি গ্রেফতার করেছে। কিন্তু ওই সমস্ত ঘটনা একেবারে গুজব বা রটনা। বলছে বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম এবং ইউটিউবাররা।
সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। তার পরিবর্তে দুটি নাম পাকা হয়ে গিয়েছিল। একজন হলেন কামরুল হাসান আর একজন ফয়জুর রহমান। কিন্তু সমস্ত চাল উল্টে গিয়েছে।
সম্প্রতি, আফ্রিকা সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। তারপরই নাকি ভারতের ‘র’ এর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারমধ্যে সেনাপ্রধান ঢাকা বিমান বন্দর দিয়ে না প্রবেশ করে তেজগাঁও বিমানবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বীবেদি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের আইএসআই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে। কিছু কিছু সেনা সদস্যকে বিপথে চালনা করারও চেষ্টা চলছে বলে খবর। ওই সাক্ষাৎকারে ভারতের সেনাপ্রধান যে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে স্পষ্ট বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটা ভালোভাবে নিচ্ছে না ভারত। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান থেকে একের পর এক জাহাজ আসা, পাকিস্তান থেকে বিভিন্ন শীর্ষ আধিকারিকরা বাংলাদেশ পরিদর্শন করা। উল্টোদিকে বাংলাদেশের শীর্ষ আধিকারিকরা পাকিস্তান যাওয়া, সবটাই কিসের ইঙ্গিত, সেটাও বুঝতে পারছে ভারত। তবে বাংলাদেশ বুঝবে, সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
অন্যদিকে ইউনুস বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসতেই দেখা গিয়েছে, আইএসআই এর পতাকা বাংলাদেশে। অর্থাৎ ঘাঁটি মজবুত করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত বেছে নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, তাদের উদ্দ্যেশ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে এদেশে নাশকতা সৃষ্টি করা। এই বিষয়ে ভারতের সেনাপ্রধান বলেছেন, যেটা কোনওভাবেই ভারত মেনে নেবে না। যদিও সীমান্তে ভারতের তরফে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। চলছে প্রতিনিয়ত বিএসএফ টহল। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে জঙ্গিদের ষড়যন্ত্র, এটা মানবে না ভারত। এছাড়া এই বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার কতটা সচেষ্ট ভূমিকা পালন করছে, সেটাও ক্রমাগত ভারত লক্ষ্য রাখছে।
কিন্তু বাংলাদেশের সরকার যে কার্যকলাপ করছে, তাতে তারা এগুলিতে মদত দিচ্ছে সে স্পষ্ট। আসলে জামাতি ইসলামি, হিজবুত তাহরীর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ ছিল। যারা ইউনূসের আমলে বেড়ে উঠেছে তাই নয়, নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে একাধিক কর্মসূচির ডাক দিচ্ছে। কিছুদিন আগেই ঢাকার রাজপথে দেখা গিয়েছে হিজবুত তাহরী মার্চ ফর খিলাফতের ডাক দিয়েছিল। কট্টরপন্থী নেতারা মিছিল করে ঢাকায় নিজেদের দাবি তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছিল। যদিও সেটা বানচাল করে দেই পুলিস। তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যে সরকার তাদের বাড়তে দিল, তারই পুলিস আটকে আর কি করবে!
তবে দেরিতে হলেও বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হয় কিনা, এখন সেটাই দেখার।
Discussion about this post