অজয় দেবগণের ‘ময়দান’ ছবিতে তারকাদের মেলা। বলিউডের একাধিক তারকা অভিনেতা, অভিনেত্রীদের মধ্যে নজর কাড়লেন জাহ্নবী কপূর। বলা ভাল সকলের নজরে পড়ল তাঁর স্টাইলিং। ভরা মঞ্চে সাদা পোশাকে অপূর্ব জাহ্নবী, নজর কাড়ল তার গলার নেকলেসও। বাবা বনি কপূরের প্রযোজিত ছবির প্রিমিয়ারে দেখা মিলল জাহ্নবী কপূরের, স্টাইলে। সাদা প্যান্টস্যুট পরেছিলেন তিনি। অন্যদিকে তাঁর নেকলেসে দেখা গেল ‘শিখু’ লেখা। তাতেই যেন সকলের চোখ আটকে গেল। কিন্তু কেন?
বাবার ছবির প্রিমিয়ার। এই বিশেষ দিনের জন্য বিশেষ পোশাক বেছে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী জাহ্নবী কপূর। পোশাকের মাধ্যমেই সঙ্গে রেখেছিলেন মা শ্রীদেবীকে। প্রয়াত অভিনেত্রীর ক্লাসি ভিন্টেজ আরমানি স্যুটই এদিন পরেছিলেন জাহ্নবী। সঙ্গে পালাজো ট্রাউজার, যার দাম প্রায় ৫২ হাজার ৪২১ টাকা। লুক সম্পূর্ণ করতে ‘ধড়ক’ অভিনেত্রী পরেছিলেন জিমি চুয়ের চামড়ার পাম্প ও সঙ্গে নিয়েছিলেন লোরো পিয়ানা হিমালয়া ক্রোকোডাইল ব্যাগ।
অন্যদিকে গলায় তাঁর ছিল একটি নেকলেস। যার ডিজাইনে লেখা ছিল ‘শিখু’। ‘কফি উইথ কর্ণ’-এর এক পর্বে এসে অভিনেত্রী বলেছিলেন প্রেমিককে আদর করে তিনি ‘শিখু’ বলেই ডাকেন। কিন্তু কারও নাম তিনি উল্লেখ করেননি। ফলে এদিন তাঁর নেকলেস দেখে সকলেরই দাবি, তাহলে কি শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে প্রেমের জল্পনায় সিলমোহর দিলেন তিনি?
প্রসঙ্গত, জাহ্নবী কপূর এর আগেও তাঁর মায়ের পোশাকে একাধিক ইভেন্টে গিয়েছেন। কিছুদিন আগে প্রয়াত নায়িকার হয়ে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার নিতে নয়াদিল্লিতে ‘৬৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’-এর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন জাহ্নবী। সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন তাঁর বাবা, প্রযোজক বনি কপূর, ও বোন খুশি কপূর। সেখানেও জাহ্নবী, তাঁর মায়ের ব্যক্তিগত কালেকশন থেকে একটি শাড়ি পরেছিলেন। সেই শাড়িটা ২০১৩ সালে রাম চরণের বিয়েতে শ্রীদেবী পরেছিলেন।
কাজের ক্ষেত্রে জাহ্নবী কপূরকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘বাওয়াল’ ছবিতে, বরুণ ধবনের বিপরীতে। তাঁর হাতে রয়েছে একাধিক কাজ। তার মধ্যে ‘দোস্তানা ২’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া তিনি নাম লিখিয়েছেন তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতেও। জুনিয়র এনটিআরের সঙ্গে দেখা যাবে ‘দেবারা’ ছবিতে। এছাড়াও তিনি রাম চরণের সঙ্গে কাজ করবেন, যার নাম এখনও ঠিক হয়নি।
Discussion about this post