কেন্দ্রের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বুধবার গোটা দেশে হবে মকড্রিল। অর্থাৎ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারতের নাগরিকরা নিরাপদে কিভাবে থাকবেন? কোথায় আশ্রয় নেবেন? সাইরেন বাজানো হলে কি করা উচিত? এই সমস্ত কিছুর জন্যই মক ড্রিল করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। আর তার আগের দিন মধ্যরাতেই ভারতীয় সেনার সাফল্য। কড়া প্রত্যাঘাত হানল ভারতীয় সেনা ও বায়ু সেনা। অপারেশন সিঁদুর এর মাধ্যমে ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, ওই ঘাটিগুলি থেকেই নাকি ভারতের হামলা চালানোর ছক কষা হয় এবং সেগুলি রূপায়িত করে। এর জেরে ৯ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। আহত ৫৫ জনেরও বেশি। পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর, মুজফফরাবাদে লস্কর-ই-তইবা ট্রেনিং সেন্টার সহ মোট নটি জায়গায় আঘাত হানা হয় বলে সূত্রের খবর।
জানা যায়, সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে ভারতের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলি কে। সাত দিনের মধ্যেই শেষ করতে হবে মক ড্রিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে। যেটা শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। তখনই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, সাতদিন নয়, মাত্র চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মকড্রিল শুরু হওয়ার আগের দিনই অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালাল ভারতীয় সেনা। নিহত হয়েছে ৯ জন জঙ্গি। ভারত নিয়ে থরহরি কম্পনে রয়েছে পাকিস্তান। যে কোন মুহূর্তে ভারতীয় সেনা ফের পাকিস্তানে হামলা চালাবে। তবে পাকিস্তানের এই মুহূর্তে একদিকে যেমন ভারত নিয়ে ভয় রয়েছে, তেমনি বালুচিস্তান নিয়ম ভয় রয়েছে এই জঙ্গি দেশটির। কারণ খবর, পাকিস্তানের সেনা প্রতিদিন উড়িয়ে দিচ্ছে বালুচিস্তানের বিদ্রোহীরা। এমন কি জানা যাচ্ছে, বালুচ বিদ্রোহীরা পাকিস্তানের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অস্ত্র সহ গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের সেনাদের আত্মীয়দের বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা প্রকাশ্যে বলছেন, যুদ্ধ লেগে গেলেই পালিয়ে যাব। এমনকি শোনা যাচ্ছে, ভারতকে ভয় পেয়ে ১০০ দিনের কাজের সেনা নিয়োগ করছে পাকিস্তান। ঠিক যেমনটাই বাংলায় হয় ১০০ দিনের শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। অর্থাৎ পাকিস্তানির অবস্থা এখন অত্যন্ত সংকীর্ণ। এমনকি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো, পাস্তুন এলাকার ধর্মগুরুরা ঘোষণা করে দিয়েছে, তারা ভারতের পাশে রয়েছে। পাকিস্তানি থেকেও তারা পাকিস্তানের পাশে নেই।
কিছুদিন আগেই ভারতের গুজরাট উপকূলে নৌ বাহিনী মহড়া দিয়েছেন। বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে কতটা শক্তিশালী এবং সক্ষম, পরীক্ষা করা হয়েছে। এমনকি বায়ু সেনার মহড়া রাজস্থানের পাক সীমান্তে। আর এই সমস্ত মহড়া, পরীক্ষার পরই মক ড্রিল এর ঘোষণা ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। যেটা ৬৩ বছর পর হচ্ছে বলে খবর। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মোট ২৪৪টি জেলায় এই ‘মক ড্রিল’-এর নির্দেসে শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার আগে থেকেই কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটককে খুন করার ঘটনায় প্রথম প্রত্যাখাতায় হেনে দিল ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপর আরো প্রত্যাখা থাকবে ভারতীয় সেনা। তার জন্য তৈরি হয়ে থাকতে হবে পাকিস্তানকে। ঠিক যেমনটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন বদলা নেব। সেই বদলায় নিয়ে দেখানো হলো। এমনকি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, দেশ যেভাবে চাইছে, সেদিকেই এগোচ্ছে ভারত। অর্থাৎ গোটা দেশ চেয়েছিল বদলা হোক, প্রত্যাঘাত হোক। আর সেটাই হল।
Discussion about this post