গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। প্রায় ৩৫ মিনিট কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। কানাডায় ১৫ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত জি ৭ সামিটের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতি বছরই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এইবারও তার অন্যথা হয়নি। সেখানে ভারতও যোগ দেয়। কথা ছিল, ওই মিটিংয়ের বাইরে সাইডলাইন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদির একটি সাক্ষাৎকার হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। ইরান ইসরাইলের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে আগেই আমেরিকায় ফিরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বৈঠকটি না হওয়ার কারণে ফোনালাপ হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। আর এই ফোনালাপের বিষয়ে পরে জানান, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিক্রম মিশ্রি। সেখানে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যায়, ইরান ইসরাইলের যুদ্ধ পরিস্থিতি, রাশিয়া ইউক্রেনের পরিস্থিতি এবং অপারেশন সিন্দুর নিয়ে কথা হয়। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ফোনালাপে বাংলাদেশ নিয়ে কথা হয়েছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে বলছেন, বাংলাদেশ নিয়ে দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে কি কথা হল, সেই কৌতুহলে ঘুম উড়েছে ইউনূসের।
জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তারপর দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের আর্মি চিফ হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ করছে। আর এখানেই অনেকে রহস্য খোঁজার চেষ্টা করছেন। ভারত, পাকিস্তানের কোনও সম্পর্কের জন্য কি কিছু বার্তা বহন করে। অন্যদিকে ইরান ইসরাইলের যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে। ইরান এবং পাকিস্তান দুটি মুসলিম ধর দেশ। পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের সীমান্ত রয়েছে। পাকিস্তান সেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে, কোনও শরণার্থী পালিয়ে পাকিস্তানে না আসতে পারে। আসলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে ট্রাম্প পাকিস্তানকে হোয়াইট হাউসে ডেকে ইরানকে কে দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো। একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলো আমেরিকাকে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আবার সেখানে বলেছেন, ভারত পাকিস্তানের সংঘাত থামানোর জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
এইবার আসি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ফোনালাপ। ৩৫ মিনিটের এই ফোনালাপে আলোচনা হয়েছে, বাংলাদেশের বিষয়ে কথা হয়েছে। সেখানে নাকি উভয় পক্ষের তরফেই একমত হয়েছে, যে সুষ্ঠ অবাক একটা নির্বাচন প্রয়োজন। এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চায়। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী তরফে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারত জিরো টলারেন্স। এমনকি নরেন্দ্র মোদী বলেন, বাংলাদেশের সাজাপ্রাপ্ত বেশ কিছু অপরাধীকে ইউনূসের আমলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শুধু ভরত নয়, গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি আরও বেড়ে গিয়েছে। তবে এই অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ভারত নিজের দায়িত্ব পালন করবে। এখানে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা, বিশ্বে এখন একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বিশেষ করে বাংলাদেশের অন্দরে যে নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা। এখন দেখার, শেষমেষ কি পরিস্থিতি তৈরি হয়।
Discussion about this post