পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সখ্যতা বেড়েছে। ইউনূস গোটা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানি জাহাজ নোঙর করতে শুরু করেছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। সেখান থেকেই খবর এসেছিল, সেখানে নাকি অস্ত্রবাহী জাহাজ ঢুকছে। এমনকি আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ছবিও পোস্ট করা হয়েছিল। তবে কি পাক জঙ্গি গোষ্ঠীর আস্তানা হয়ে উঠছে বাংলাদেশ? পাকিস্তানি জঙ্গি লাগিয়ে চক্রান্ত করছেন মুহম্মুদ ইউনূস? তবে এদিকে প্রস্তুত ভারতও। পাল্টা পদক্ষেপ ভারতের।
যে ভারতের হাত ধরে বাংলাদেশের জন্ম হল, সেই বাংলাদেশে এখন ভারত বিরোধী জিগির। শুধুমাত্র ভারত বিদ্বেষ নয়, ভারতের একাংশ দখলের হুমকি ধেয়ে আসছে পদ্মাপাড়ের দেশ থেকে। যা নিয়ে ভারত ভয় না পেলেও অত্যন্ত বিরক্ত। বাংলাদেশ তবে কি যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে ভারতকে? তবে বাংলাদেশসামরিক দিক থেকে গোটা বিশ্বে ৩৭তম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে ভারত রয়েছে চতুর্থ স্থানে। একটি ৩৭তম স্থানে থাকা চতুর্থ স্থানে ভারতকে কিভাবে যুদ্ধের জন্য উস্কানি দিচ্ছে? যদিও বাংলাদেশের এত সাহস যে পাকিস্তান থেকে আসছে, তা গোটা বিশ্ব দরবারে স্পষ্ট। এদিকে ভারতও যুদ্ধক্ষেত্রে সুসজ্জিত। জল ও স্থলে নতুন যুদ্ধ বিমান-রাফাল ট্যাঙ্ক মজুদ করছে ভারত।
সুরক্ষার দিকে অত্যন্ত সতর্ক ভারত। সীমান্তে কড়াকড়ি করেছে বিএসএফ।ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। কড়া প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুত ভারত। আমদানি করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তারা অস্ত্র মজুত করছে। ভারত বিদ্বেষ জিগার উঠার পরই নাকি অস্ত্র কেনার কথা ভেবেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাংলাদেশের অন্দর থেকে উঠে এসেছে একাধিক হুমকি। সেভেন সিস্টার্স নাকি দখল করবে বাংলাদেশ। শুধু সেভেন সিস্টার্স নয়, কলকাতা দখলেরও হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী সংগঠনের কিছু নেতা। যদিও তা নিয়ে একাবারেই চিন্তিত নয় ভারত। কারণ ভারতের সামরিক শক্তি বাংলাদেশের থেকে বহুগুনে বেশি। তবে ইউনূসের সরকার ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কি পরিকল্পনা করছে, তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এখন দেখার, বাংলাদেশের ঠিক কি করণীয়?
Discussion about this post