কোলেস্টেরলের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বৃদ্ধ হোক কিংবা যুবক। যে কোনো বয়সেই হতে পারে কোলেস্টেরল। আমরা যাই খাই তাই শরীরে প্রভাব ফেলে, কোলেস্টরল বাড়তে পারে তাতে। তাই সুষম আহার করা খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে নিয়ম মাফিক পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন। এবং তা যেন হয় সুষম, চর্বি, ক্যালোরি বিহীন। বিশেষ করে বাইরের অতিরিক্ত তেল, মশলা যুক্ত খাবার আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ায়। সাথে নিয়মিত শরীর চর্চা না করা , অনিয়মিত জীবনযাপন , অনিয়মিত ঘুম , ফাস্ট ফুড জাতীয় অতিরিক্ত খাবার, রঙিন পানীয়, এগুলো আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। কোলেস্টেরল বাড়লে সেটি আমাদের হার্টের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে কারুর কোলেস্টেরল ধরা পড়লে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, নিয়মিত ওষুধ খান , শরীর চর্চা করুন, এবং জীবনযাপনে পরিবর্তন আনুন।
লেবুর জল
ঈষদুষ্ণ জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। লেবুর রসে ভিটামিন সি থাকে , যেটি আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল এবং অনান্য ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সাথে শরীর হালকা এবং ঝরঝরে রাখে।
গ্রিন টি
লিকার চা খান ? দীর্ঘ দিন কোলেস্টেরল পিছু ধাওয়া করলে মাঝেমাঝে গ্রিন টি খেতে পারেন। ওজন ঝরাতে গ্রিন টি-এর জাদু কমবেশি সকলেই জানেন। কোলেস্টেরলকে কব্জা করতেও কম ‘খেল’ দেখায় না গ্রিন টি। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট , দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর জলখাবার
কোলেস্টেরল একেবারে কমে গেলে তখন ইচ্ছে মতো খাওয়াদাওয়া করতেই পারবেন। কিন্তু তার জন্য দ্রুত কোলেস্টেরলের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে হবে। তাই ইচ্ছে করলেও সকালের জলখাবারে লুচি-পরোটার বদলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। এ ক্ষেত্রে বাদাম, ফল, স্মুদি (এক ধরনের পানীয়), ডালিয়া শরীরের যত্ন নেবে।
শরীর চর্চা
কোলেস্টেরল রুগীদের শরীরচর্চা করা খুবই দরকার। নিয়ম করে রোজ সকালে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন। জিমে না গেলেও চলবে , তবে বাড়িতেই কিছু যোগাসনের অভ্যাস করুন। বিশেষ করে কোলস্টেরল কমায় এই ধরণের যোগাসনের চেষ্টা করুন।
প্রক্রিয়া জাত খাবার এড়িয়ে চলুন
বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার একদম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে , পিৎজা , বার্গার, হট ডগ এগুলি খাবেননা। এই খাবার গুলি আমাদের কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। খুব বেশি হলে এই সমস্ত খাবার মাসে একবার খেতে পারেন। কিন্তু কখনোই এই খাবার গুলি দিয়ে ব্রেকফাস্ট করবেননা , তাহলেই বাড়তে পারে বিপদ।
তাই কোলেস্টেরল ধরা পড়লে এই সমস্ত নিয়ম গুলি মেনে চলুন সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে সাথে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস করুন। তাহলেই দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবেন।
Discussion about this post