নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা খাতে সরকারকে গুনতে হচ্ছে মাসে ১২ লক্ষ টাকা! হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, জেলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শুধু নিরাপত্তা খাতে সরকারের খরচ হচ্ছে মাসে ১২ লক্ষ টাকা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন। তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইমরান খান কারাগারে রয়েছেন।
সম্প্রতি জেল কর্তৃপক্ষের তরফে লাহোর হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে এই বিপুল খরচের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জেল সুপারিনটেনডেন্টের পক্ষ থেকে আদালতে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, সেই নথি অনুসারে জেলের মধ্যে ৫ লাখ টাকার একটি পৃথক সিসিটিভি ক্যামেরা সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে জেলের মধ্যে। যা অন্যান্য বন্দিদের উপর নজরদারি চালানো সিসিটিভি ফুটেজের থেকে আলাদা। শুধু তাই নয়, জেলের মধ্যে ইমরান খানকে যযে খাবার পরিবেশন করা হয়, তা একটি নির্দিষ্ট রান্নাঘরে প্রস্তুত করা হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সেই খাবার গ্রহণের আগে একজন মেডিকেল অফিসার যাচাই করে নেন। ইমরানের চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘন্টা মোতায়েন রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ছয় জনেরও বেশি চিকিৎসকের একটি দল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলের সাতটি বিশেষ কক্ষ রয়েছে। তার মধ্যে দুটি কক্ষ জুড়ে রয়েছেন ইমরান খান। আর বাকি পাঁচটি কক্ষে অন্য কোনও বন্দিকে রাখা হয়নি। নিরাপত্তার কারণে তা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জেল কর্তৃপক্ষের দাবি। ইমরানের জেল কক্ষে প্রবেশের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে জেল কর্তৃপক্ষের। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা কর্মীরা জেলে ইমরানের ওয়ার্ডে পাহারা দেন৷
প্রসঙ্গত আদিয়ালা জেলের বন্দিদের নিরাপত্তার জন্য প্রতি দশজনে একজন কর্মী নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ইমরান খানের ক্ষেত্রে ১৫ জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে দুইজন কর্মকর্তা এবং তিনজন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নিবেদিত। এছাড়াও ইমরান খানের হাঁটাহাঁটির জন্য জেলে আলাদা জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে, সেখানে ব্যায়ামের জন্য মেশিন-সহ রয়েছে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। এই সমস্ত আয়োজনের জন্য মাসে ১২ লক্ষ টাকা করে গুনতে হচ্ছে পাক সরকারের।
Discussion about this post