রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২০২৪ এলিমিনেটর ম্যাচটি ছিল দীনেশ কার্তিকের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচে দল হেরে যায়। এবং কার্তিকের ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের নিলামে কার্তিককে নিয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এরপর থেকে মোট ছয়টি দলের হয়ে খেলেছেন তিনি ।এখনো পর্যন্ত আইপিএলের প্রতিটি মরশুমে খেলা ৭ জন ক্রিকেটারের মধ্যে কার্তিক অন্যতম । গত তিন বছর ধরে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হয়ে খেলছেন দীনেশ কার্তিক।
আরসিবি কখনো ট্রফি জেতেনি। ২০১৫ সালেও আরসিবিতে ছিলেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম তিন বছর তিনি ছিলেন দিল্লিতে এবং তিনি ট্রফিও জিততে পারেননি ।এরপর চলে যান কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে। সেখানেও ট্রফি জিততে পারেনি। তারপর তিনি চলে যান কলকাতার নাইট রাইডার্সে। এখানে তিনি অধিনায়কত্ব করলেও ট্রফি জিততে পারেননি। একমাত্র ২০১৩ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল ট্রফি জিতেন দীনেশ কার্তিক । ১৭ মরশুমী আইপিএল ক্যারিয়ারের দীনেশ কার্তিক ৫০০ বেশি রান করেছেন মাত্র একটি মরসুমে।
২০১৩ সালে তিনি সর্বোচ্চ রান করেন। মুম্বাইয়ের হয়ে ৫১০ রান করেছিলেন কার্তিক ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে মুম্বই ট্রফি জেতে। কার্তিককে ধারাবাহিকভাবে টপ অর্ডারে খেলা সুযোগ দিয়েছিলেন। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গুজরাট লায়ন্স দলে ছিলেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ছাড়ার আক্ষেপ দীনেশ কার্তিকের । কিছুদিন আগে রবিচন্দ্র অশ্বিন এর ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেছিলেন তার জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ হল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের না থাকার সিদ্ধান্ত । কার্তিকের মতে, মুম্বাই তাকে বড় খেলোয়াড় হতে সাহায্য করতে পারত, সেইসঙ্গে আরো অনেক আইপিএল জিততে পারতেন তিনি।।
Discussion about this post