শনিবারই ভারতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার উড়ে গিয়েছেন নিউইয়র্ক। পয়লা জুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ। ৫ই জুন থেকে যাত্রা শুরু হবে রোহিত শর্মাদের। নিউ ইয়র্ক ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ নিয়ে কয়েক মাস আগে থেকে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। অনুমান করা হচ্ছে স্পিনাররা এই পিচ থেকে বেশি সাহায্য পাবেন । প্রাক্তন ভারতীয় লেগ স্পিনার এল শিবরাম কৃষ্ণান মনে করেন চার স্পিনার দলে নিয়ে ঠিক করেছে ভারত। সব চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত যজুবেন্দ্র চাহলকে দলে নেওয়া। তিনি জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপভোগ্য হয়ে উঠবে এবার। ১৭০ থেকে ১৮০ রান উঠে গেলে রান তাড়া করতে সমস্যায় পড়বে যে কোন দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ আগের মত নেই ,আমরা যখন খেলতাম জোরে বোলারদের কথা ভেবে বাউনস ও গতি, রাখা হত পিচে। এখনকার উইকেটে চরিত্র বদলেছে। বল বেশি ঘোরে । ভারত ঠিকই করেছে চার স্পিনারকে দলে রেখে।
প্রাক্তন লেগ স্পিনার খুশি হয়েছেন চাহলকে ভারতীয় দলে ফিরতে দেখে। বলছিলেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের পরে ওকে আর বড় প্রতিযোগিতা নেওয়া হতো না। কিন্তু এবার এ বিশ্বকাপে রোহিতের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে চাহাল । ও কখনো ভয় পায় না, হাওয়ায় ভাসিয়ে বল করে । ব্যাটসম্যানদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফ্লাইট দিলে ব্যাটসম্যান মারতে যাবেই। আর তাতেই পড়বে উইকেট। ভারতের বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের প্রশংসাও করেছেন । তিনি মনে করেন, বোলিং এর পাশাপাশি তার ব্যাটিং ও কাজে লাগাতে পারবেন রোহিত। তাকে খেলানো হলে সহজে রান করতে পারবে না প্রতিপক্ষ দল। চাহাল, অক্ষরকে প্রথম একাদশে রাখছেন তিনি । সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা তো আছেনই । তার ব্যাখ্যা, অক্ষরের কয়েকটা বল সোজা প্যাডের আছড়ে পড়ে । কোনও বল আবার মিডিল স্টাম্প থেকে বাইরের দিকে ঘুরে যায়। ওর অ্যাকশন টাই এমন। দেখলে মনে হবে সব বল ডানহাতি ব্যাটসম্যান এর ভেতরের দিকে আসবে । বলটা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে জানে। সিম ধরে সব বল করে না। যে বলটা ভেতরের দিকে নিয়ে আসতে চায় সেটাতে কিন্তু বলের চকচকে দিকটা মাটিতে ফেলে যাতে পিছলে গিয়ে প্যাডে লাগে ব্যাটসম্যানদের। ৯ জুন নিউইয়র্কে পাক ভারত দ্বৈরথ। সেখানে কোন দলকে এগিয়ে রাখছেন? নির্দ্ধিধায় শিবরামকৃষ্ণান বলেন ,ভারত। রোহিতদের বোলিং বিভাগের সামনে ওরা দাঁড়াতে পারবে না।
Discussion about this post