বিপর্যস্তদের মন পেতে দুই প্রার্থীর মরিয়া চেষ্টা। সুন্দরবনে বিপর্যস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদারের। পিছিয়ে নেই মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইতও।
প্রায় ১৩৫ কিমি গতিবেগে বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও পশ্চিমবাংলার সাগরদীপের মাঝামাঝি অংশে আছড়ে পড়েছে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রেমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সাগর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা। কোথাও রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। কোথাও বা গাছ পড়ে আটকে রয়েছে রাস্তা। সোমবার দিনভর বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। সার্বিকভাবে ঝড়ের তাণ্ডবে প্রচুর মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও ভোট মরশুমে রেমাল আছড়ে পড়ায় জন সেবার আরও একটি সুযোগ পেয়ে গেলেন প্রার্থীরা। যেমন মথুরাপুর। শেষ দফা অর্থাৎ ১ লা জুন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। সকাল থেকে রেমালের দাপট কমতেই বেড়িয়ে পড়েছেন বাংলার দুই যুযুধান দলের দুই প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত নামখানার ফেজারগঞ্জ এলাকার সহ বিভিন্ন জায়গায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করলেন। বাঁধ পরিদর্শন শেষে বামেদের পাশাপাশি বর্তমান তৃণমূল সরকারকে বিঁধতে ছাড়লেন না।
এদিকে পিছিয়ে নেই তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদারও। ছাতা মাথায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এলাকার মানুষের পরিস্থিতি জানতে বেড়িয়ে পড়লেন সকাল সকাল। খাবার-বিস্কুট তুলে দিলেন ছোটদের হাতে। দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হল ত্রিপল। সব মিলিয়ে দুই প্রার্থী বার্তা দিলেন পাশা থাকার। দুই যুযুধান শিবিরের তৎপরতা দেখে অনেকেই বলছেন ভোট যে বড় বালাই এতেই বোঝা যায়। কত ঝড় এল কত ঝড় গেল। সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের পরিস্থিতি বদলালো কি?
Discussion about this post