আবারও বাঁধায় ভুতনিতে বাঁধ নির্মাণের কাজ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে একজোট হয়ে বিক্ষোভে সামিল জমিদাতারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং গুন্ডাদের সাহায্যে জোরপূর্বক রায়তি জমিতে কাজ করার অভিযোগ। বাধা দিলে মারধর এমনকি পুলিসে ধরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি।
ভূতনির কেশোরপুর কালুটনটোলা এলাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চলছে প্রায় আড়াই কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণের কাজ। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ছয় কোটি ১০ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে খাস জমিতে শুরু হয়েছে বাঁধ নির্মাণের কাজ যা প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু প্রায় দুই কিলোমিটার রায়তি জমিতে জমিদাতারা ক্ষতিপূরনের দাবীতে অনড় থাকায় শুরু করতে পারেনি কাজ। কিছু দিন আগেই মালদহের জেলাশাসক ও মানিকচকের বিধায়ক সহ অন্যান্য আধিকারিকের উপস্থিতিতে জমিদাতাদের নিয়ে বৈঠকও করা হয়, সেখানেই বের হয় সমাধান সুত্র। দ্রুত জমির ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন খোদ মালদহের জেলাশাসক এবং মানিকচকের বিধায়ক, সম্মতি দেন জমিদাতারা। কিন্তু তারপরেও আজ আবার বিক্ষোভে সামিল তারা। তাদের অভিযোগ তাদের জমি নেওয়া হবে অথচ প্রশাসনিক বৈঠকে আমাদের ডাকা হয়নি জানানো হয়নি,পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। তাই ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের কাজ হতে দিবেন না গ্রামবাসীরা বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ক্ষতিপূরন দেবার কথা বললেও এখনও কিছুই পায়নি তারা। জেলাশাসক, বিধায়ক আশ্বাস দিলেও মেলেনি ক্ষতিপূরন। স্থানীয় গুন্ডাদের সাহায্যে জোরপূর্বক বাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন ঠিকাদার সংস্থা, বাঁধা দিলে মারধর এমনকি পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি শুনতে হচ্ছে তাদের।
বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাধারণ সম্পাদক গৌড় চন্দ্র মন্ডল জানালেন, এই অঞ্চলের মানুষ ইতিমধ্যে গঙ্গা ভাঙনের জন্য সর্বশান্ত। তারপর বাঁধ নির্মাণের জন্য অধিকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পায়নি তারা। এমনকি প্রশাসনের বৈঠকেও তাদের ডাকা হয়নি নেওয়া হয়নি তাদের সম্মতিও। কতিপয় কিছু সমাজ বিরোধী লাগাতার ভয় দেখিয়ে যাচ্ছেন ভুতনিবাসীকে।
মানিকচক বিধানসভার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, প্রশাসনিক বৈঠকের দিন বেশ কিছু বাসিন্দা উপস্থিত থাকতে পারেননি তাদের সাথে আবার বৈঠক করা হবে। ইতিমধ্যে বাদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ধীরে ধীরে জমিয়ে অতিক্রমণ ও জমি দাতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ চলছে। এখনো পর্যন্ত ভুতনি অঞ্চলের বাসিন্দারা যদি ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকেন তবে চিন্তার কোন কারণ নেই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আপনারাও ক্ষতিপূরণ পাবেন।
Discussion about this post