আর জি কর কাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। সেই আবহেই সন্দীপের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে ইতিমধ্যে SIT গঠন করেছে রাজ্য। দুর্নীতির অভিযোগে আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত দাবি করে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার সকালে এই আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার বলেন, “ডে ওয়ান থেকে ওঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। এক সময় ছাত্ররা ওঁর বিরুদ্ধে ভুক হরতাল করেছিল প্রায় একমাসের বেশি। কুকুরের মতো ছাত্ররা তাড়া করেছিল। টাকা নিয়ে উনি পাশ করাতেন। যাঁরা ওঁর ছাত্র ছিল তাঁরা বাকিদের অত্যাচার করত। খারাপ কেসে ফাঁসিয়ে দিত। ব্ল্যাকমেইল করত। পয়সা না দিলে এই করে দেব। ওই করে দেব এই সব বলত। একে সাসপেন্ড করে দ্রুত হেফাজতে নেওয়া উচিত।”
আখতার আলির আরো অভিযোগ, গেস্ট হাউসে মেয়েদের আনা এবং অ্যাডাল্টারি হত সন্দীপ ঘোষের মদতে। কিছু চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সবটাই হত সন্দীপ ঘোষের কথায় বলে বিস্ফোরক আখতার আলি। এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আখতার আলি অভিযোগ করেন, “সন্দীপ ঘোষের মতো দুর্নীতিগ্রস্থ অধ্যক্ষ আমি জীবনে দুটো দেখিনি। তিনি মোস্ট কোরাপ্টেড প্রিন্সিপাল।” তিনি দাবি করেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তিনটি প্রধান দুর্নীতি ছিল: বায়ো মেডিক্যাল দুর্নীতি, ছাত্র-ছাত্রীদের ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, এবং অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকার নয়ছয়। এই সমস্ত দুর্নীতি পরিচালিত হতো সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে।
Discussion about this post