৭ ই মার্চ ওয়াকার উজ জামানকে নিকেশ করার একটি পরিকল্পনা ছিল তৌহিদী জনতা বা হিজবুত তাহরীর। এমনকি মোহমদ আতাউর রহমান এবং মোহাম্মদ তামিমের উপর দায়িত্ব দেওয়া ছিল। তাদের নেতৃত্বে ওয়াকার উজ জামানের উপর ঝাপিয়ে পড়বে কট্টরপন্থী সদস্যরা। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ অন্য পথ দিয়ে ওয়াকার উজ জামান বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তবে সমস্ত বিষয়টির উপর নজর রাখছে ভারত। একটিও হচ্ছে টিম দোভাল। খবর সূত্রের।
অন্যদিকে বাংলাদেশের এখন যে খবর সামনে আসছে, তা হল 12 জন সেনা কর্তাকে নাকি নজর বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ফাইজুর রহমান, কামরুল হাসান রয়েছেন বলে খবর। তবে কি এবার তাদের গ্রেফতার করাও হতে পারে? উঠছে প্রশ্ন। আসলে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর সেটা করছে আইএসআইয়ের কিছু সদস্য। আর সেটা বুঝতে পারছে সেনাপ্রধান। তাই তিনি দেশে ফিরতেই সেনাবাহিনীর মধ্যে রাশ টানার চেষ্টা করছেন। তিনি এমনকি গোপন সূত্রে খবর, বেশ কিছু সেনাকর্তাকে তিনি হুশিয়ারি দিয়েছেন।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে ফাটল ধরেছে, সেই খবর আগেই জানা গিয়েছিল। সেনা সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, কোথায় কিভাবে কাজ করবে সেই নিয়েও নানারকম বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে সেনাপ্রধান বেশ কয়েকদিনের জন্য বাংলাদেশের বাইরে ছিলেন। আর সেই সুযোগে বেশ কিছু ব্যক্তি সেনাবাহিনীর মধ্যে আরও ফাটল চওড়া করে। এমনটাই খবর গোপন সূত্রে। তবে সেনাপ্রধানের কাছে সেই খবরও ছিল। তাই তিনি দেশে ফিরতেই একটি বৈঠক করেন। আর সেই বৈঠকেই সবাইকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। শুধু তাই নয়, ফয়জুর রহমানকে হুশিয়ারী দেন বলে গোপন সূত্রে খবর।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ভরসা করে সেখানকার জনগণ। যেকোনো সংকটের সময় সেনাবাহিনী তাদের ভরসার জায়গা। আর সেই দায়িত্ব পালন করে এসেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। কিন্তু ইদানিংকালে ক্যান্টনমেন্টে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, তাতে হয়তো তিনি লাগাম টানতে পারছেন না। তাই সম্প্রতি কিছু মন্তব্য করেছিলেন। তখন তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করে লাভ নেই। এতে অপরাধীরা সুযোগ পাবে। আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। সেটা কাম্য নয়। একসঙ্গে সবাই মিলে কাজ করতে হবে দেশের জন্য। তখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, সেনাপ্রধান হয়তো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকলাপে সন্তুষ্ট নন। আর সেই কারণেই তাকে ঘুরপথে বার্তা দেবার জন্য এমন মন্তব্য করেন। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, শুধুমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ছিল না এই বার্তা। ছিল তার সেনানিবাসে থাকা সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্যেও। তাই তিনি সরকারি সফর শেষ করে তড়িঘড়ি বৈঠক করেন। এবং বোঝানোর চেষ্টা করেন, সেনানিবাসে বিভেদ তৈরি হলে গোটা দেশ বিপন্নতায় ভুগবে।
কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধুমাত্র কয়েকটি হুঁশিয়ারি মন্তব্য আর বার্তা দিয়েই কাজ হবে না। শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে এই সংকট। অন্তত দেশের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য এই কাজটি সেনাপ্রধানকেই করতে হবে। আরো একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলাদেশের দরকার একটি স্থায়ী সরকার। এটার জন্য নির্বাচন প্রয়োজন। এবং সেই নির্বাচন যাদের দ্রুত হয় তারই চেষ্টা চালাতে হবে। যদিও এগুলি ভালো করে বোঝেন সেনাপ্রধান। অতীতে বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলতে শোনা গিয়েছে তার গলায়। আর এই কারণেই সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধেও দেশের অন্তরে চলছে ষড়যন্ত্র। এমন খবরও সামনে এসেছিল। এখন দেখার, এ সমস্ত সংকট কাটিয়ে উঠে কিভাবে মোকাবিলা করেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান।
Discussion about this post