ফের মুখ খুললেন শেখ হাসিনা। সক্রিয় হচ্ছে হাসিনার দল। তলে তলে গুটি সাজাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর হাসিনা মুখ খোলা মানেই ঘুম উড়েছে মোহাম্মদ ইউনূসের।
হাসিনার দল লিফলেট বিলি করছে বাংলাদেশে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এককথায় জনসংযোগ করছে আওয়ামী লীগ। আর সেই খবর সরকারের টেবিল অবধি পৌঁছতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, যারা লিফলেট বিলি করছেন তাদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয়। তারপরও তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয় কিভাবে? যদিও কিছুদিন আগে হাইকোর্টে গিয়ে একটি মামলা করা হয়। একটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, যাতে বাংলাদেশে হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি লিফলেট বিলিতে কিছু কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এইভাবে আদেও কি আওয়ামী লীগ দলকে দমানো যাবে? ইতিমধ্যে হাসিনার একাধিক অডিও বার্তা প্রকাশ্যে এসেছে। যা চিন্তায় ফেলেছে বাংলাদেশের সরকারকে।
প্রসঙ্গত, গোটা বাংলাদেশ জুড়ে একটি দীর্ঘ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। সরাসরি শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশে এক থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ এবং শেষ দিনে হরতাল করা হবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে দেখতে চাইছেন সাধারণ মানুষের জনমর্থন কতটা রয়েছে? সেই কারণে দীর্ঘ এই কর্মসূচি। এমনকি এও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি এই কর্মসূচিতে বাধা দান করা হয়, তবে আরও বড় কোনও পদক্ষেপ করবে আওয়ামী লীগ।
এদিকে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের কাছে একটু একটু করে পরিষ্কার হচ্ছে, অন্তবর্তী সরকার কতটা ব্যর্থ। সেই কারণেই দেশের কোণায় কোণায় বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কেউ কেউ বলছেন, হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে সরকার চালানোর জন্য। কেউ আবার বলছে, দেশে সেনা শাসন জারি হোক।
বাংলাদেশে হাসিনার পতনের পর অন্তবর্তী সরকার গঠন হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই হাসিনা একটি মন্তব্য করেছিলেন পর্দার আড়াল থেকে। তিনি বলেছিলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে মার্কিনের হতে তুলে দিতে চাইছেন মোহম্মদ ইউনুস। আর এখন দেখা যাচ্ছে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তাহলে প্রমাণিত, ইউনুস এই দ্বীপকে নিয়ে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, যে কারণে এমন নিষেধাজ্ঞা। যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে হাসিনা দিতে রাজি হননি আমেরিকাকে, যে কারণে নানা সমস্যার সম্মুখীন পর্যন্ত হতে হয়েছিল হাসিনার সরকারকে। তারপরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এইবার সেটাই হাতছাড়া করেতে যাচ্ছেন ইউনুস। যা দেশের জন্য নিঃসন্দেহে বড় ক্ষতি।
ওকিবহাল মহল বলছে, ছাত্রদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে দেশে। এখনও যদি সচেতন না হয়, তাহলে আর পুনুরুদ্ধার করা যাবে না বাংলাদেশকে।
Discussion about this post