পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়, জঙ্গিদের লালন করে..
এই সমস্ত কথা প্রকাশ্যে বললেও ভারতকে যে ডরায় সেটা প্রমাণিত। ভারতের একের পর এক পদক্ষেপ দেখে বেশ কয়েকটি দেশের দারস্ত হয়েছিল পাকিস্তান। লাভের লাভ না হয়ে জাতিসংঘের দারস্ত হয়েছিল এই দেশটি। জাতিসংঘ পাকিস্তানের তাবেদারী ও করে। জাতি সংঘের তরফে ভারতের কাছে ফোন আসে যুদ্ধ এড়ানোর। তাতে খুব একটা সদুত্তর না পেয়ে পাকিস্তানের আবেদনের সাড়া দিয়ে গোপন বৈঠক করতে চলেছে জাতিসংঘ। এমন একটি বিস্ফোরক খবর এসেছে। যেখানে বলা হচ্ছে, ভারত পাকিস্তানের বর্তমান যা পরিস্থিতি তার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ভারতের বিপক্ষে এবং ভারতকে না জানিয়ে একটি ক্লোজ আলোচনা চলছে। এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেখানে ভারত পাকিস্তান বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে , সেখানে উপস্থিত নেই ভারতই? এর পূর্বেও দেখা গিয়েছে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। এবার পাকিস্তানের বিষয়ে একপেশে হয়ে বৈঠক, যেটা মোটেই ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না বিশ্ব দরবারে। আসলে পাকিস্তান আগেই বুঝতে পেরেছে, ভারত তাদের ওপর হামলা চালানোর ছক কষছে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি অতর্কিতভাবে হামলা চালাবে ভারত, সেটা প্রত্যাশা ছিল না পাকিস্তানের।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়া হল, বুধবার গোটা দেশ জুড়ে মক ড্রিল করা হবে। এমনকি বিভিন্ন রাজ্যের মোট ২৪৪ টি জেলায় এই মকড্রিলের নির্দেশ শুরু হয়। কিন্তু তার আগের দিন রাতেই ভারতীয় সেনা এবং বায়ু সেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নটি জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে উড়িয়ে দেয়। ৯জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে এখনো পর্যন্ত খবর। ৫৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছে এই ঘটনায়। মধ্যরাতে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি যে বদলার কথা বলেছিলেন, সেই বদলায় নিয়ে দেখালো ভারত।
জাতি সংঘ যে বরাবরই পাকিস্তানের পক্ষে, সেটা প্রমাণ করে বিভিন্ন কার্যকলাপে। দিনের পর দিন জাতিসংঘের মন্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করে গেছে। শুধু তাই নয়, ৬০ বছর আগেও ভারতের সঙ্গে লাহোর যুক্ত হত। কিন্তু সেই সময়ও কোনও না কোনও জাতিসংঘ পন্থা অবলম্বন করে লাহোর কে সঙ্গে নিয়ে যায় পাকিস্তান। এদিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একাধিক দেশের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমেরিকা রাশিয়া ইসরাইল সহ ১০০ টিরও বেশি দেশ ভারতের পাশে রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই চায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। এদিকে পাকিস্তান গ্রিসের কাছেও একটি বৈঠকের জন্য আবেদন জানায়। এবং গ্রিস জানায়, এই মুহূর্তে প্রয়োজন পাকিস্তানের মনোভাব বোঝার। আর সেই কারণেই এই বৈঠকটি করতে রাজি হয়ে যায় তারা। কিন্তু আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভারত পাকিস্তান যেমন চির শত্রু দুটি দেশ, ঠিক তেমনি তুরস্ক এবং গ্রীস, দুই দেশ দুই দেশকে সত্য বলে অভিহিত করে। পাকিস্তানের পাশে সেরকম কোন দেশ না দেখা গেলেও তুরস্ক প্রকাশ্যে দাঁড়িয়েছে তাদের পাশে। শুধু তাই নয় পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে তুরস্ক। আর এখানে বলাই বাহুল্য, পাকিস্তানের পাশে থাকবে না গ্রিস। ফলে যে বৈঠক করতে চলেছে পাকিস্তান, সেখানে লাভের লাভ হবে না। তবে এত আলাপ আলোচনার পরও পাকিস্তান নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পারল না। ভারতীয় সেনা এবং বায়ু সেনা নটি জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। অনেকে বলছেন, এটা প্রথম প্রত্যাখাত। এরপর পাকিস্তানকে প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে, ভারতীয় হামলার জন্য। এখন দেখার, মক ড্রিলের পর আরও কড়া প্রত্যাঘাত হানে কিনা ভারত।
Discussion about this post