আমি নারী আমি সব পারি। এই উক্তিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল প্রচলিত। সত্যিই তো নারীরা সবই পারেন। ঘর সামলানো থেকে শুরু করে দেশ সামলানো, এমনকি সেনাবাহিনী থেকে পাইলট, রাজনীতি সব বিভাগেই নারীরা আজ পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলছেন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তৈরি করে দেওয়া বিভিন্ন নিয়ম কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাঁরা সমান তালে এগিয়ে চলেছেন। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নারীদের কৃতিত্ব। বিশেষ করে ভারতীয় নারীদের বীরত্ব দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এমনি এক বীর কন্যার নাম উঠে এসেছে সম্প্রতি। তিনি হলেন মেজর রাধিকা সেন। আগামী ৩০ মে সেনাবাহিনীর মেজর রাধিকা সেনকে বিশেষ পুরস্কার দিতে চলছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মেজর রাধিকা সেনের হাতে তুলে দেবেন ‘মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অ্যাওয়ার্ড’।
আসুন জেনে নেওয়া যাক মেজর রাধিকা সেন কে?
হিমাচলপ্রদেশে জন্ম রাধিকা সেনের, বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনো করার পর তিনি আইআইটি বম্বে থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। পড়াশোনো শেষ করে, ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনায় যোগ দেন তিনি। এরপর পদন্নোতি হয়ে তিনি বর্তমানে মেজর পদে কর্মরত। বর্তমানে মেজর রাধিকা সেন রাষ্ট্রসংঘের শান্তিবাহিনীর সদস্য। এই বাহিনী মূলত নারী এবং শিশুদের জন্য কাজ করে। গত বছর রাষ্ট্রসংঘের অর্গানাইজেশন স্টেবিলাইজেশন ইন দ্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর অর্থাৎ সংক্ষেপে মোনুস্কোর সদস্য হন তিনি। এই সংগঠনের কমান্ডার পদেও উন্নীত হয়েছেন মেজর রাধিকা সেন। সেখানেই তাঁর অসাধারণ দক্ষতা এবং কাজের সুবাদে এবার রাষ্ট্রসংঘ মেজর রাধিকা সেনকে মনোনীত করেছে এই গৌরবপূর্ণ সম্মানের জন্য।
আগামী ৩০ মে এই ভারতীয় সেনার এই বীরাঙ্গনাকে ‘মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অ্যাওয়ার্ড’ দিতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘ। যদিও তিনি প্রথম নন, এর আগে মেজর সুমন গাওয়ানি ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন এই সম্মান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মেজর রাধিকা সেনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি রাধিকা সেনকে একজন সত্যিকারের রোলমডেল বলে অভিহিত করেছেন। মেজর রাধিকা সেন ভারতীয় নারীদের পথ দেখাতে পারবেন, এবং তার এই সম্মান ভারতীয় নারীর কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারবে বলেই অনেকে মনে করছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান আরও বলেন, মানবিকতা এবং দায়বদ্ধতার অন্যতম সেরা উদাহরণ মেজর রাধিকা এ বিষয়ে মেজর রাধিকা সেন বলেন, তার এই অ্যাওয়ার্ড সমস্ত শান্তি রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি। এই অ্যাওয়ার্ড সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করেন এই বীরাঙ্গনা ।
Discussion about this post