চিনকে বিশ্বাস করে সব থেকে বড় ভুল করেছে পাকিস্তান। ভারত অপারেশন সিঁদুরে একাধিক মিসাইল ব্যবহার করেছে। বেছে বেছে টার্গেট করে নটা জঙ্গি খাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা এবং বায়ু সেনা। যার মূলে রয়েছে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের ব্যর্থতা। পাকিস্তানের বিভিন্ন মিডিয়াতে হইচই সৃষ্টি হয়েছে, কিভাবে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হল? এমনকি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ভারত থেকে আসা বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের র্যাডারে ধরা পরল না।? কোথায় ছিল পাকিস্তানের সেনাপ্রধান? তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনী চীনের ৯০ শতাংশ অস্ত্র ব্যবহার করে। তার মধ্যে অন্যতম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ভারত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং s400 ডিফেন্স সিস্টেম রাশিয়া থেকে পেয়েছে। অন্যদিকে চীন থেকে আনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেন কাজ করলো না? সেটা নিয়ে পাকিস্তানের অন্দরেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। পরবর্তীকালে পাকিস্তান থেকে কিছু ভিডিও ফুটেজ আসে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যে সমস্ত জঙ্গিদের ভারত শেষ করল, তাদের দেহ পাকিস্তানের পতাকায় মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজকীয়ভাবে শেষকৃত্য পালন করা হচ্ছে। পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেনাবাহিনী। এখানেই বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তান সত্যিই সন্ত্রাসবাদকে কিভাবে লালন করে এসেছে দীর্ঘদিন! মাসুদ আজহারের ভাইযের মৃতদেহের সামনে কোরআনের বিভিন্ন শ্লোক পাঠ করছে। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, পাকিস্তান সরকার এবং সেনাবাহিনী কাদের জন্য শোক পালন করছে? যারা নিরীহ ২৬ জন পর্যটককে খুন করল, তাদের? এমনকি জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহার এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়া লেখেন,আজ রাতে আমার পরিবারের ১০ সদস্য জন্নত পেয়েছেন। ওদের মধ্যে পাঁচ নিষ্পাপ শিশুও ছিল।তারপর তিনি উল্লেখ করেন, একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টারমাইন্ড বলে, আমি কোনও দুঃখ, হতাশা কিছুই অনুভব করতে পারছি না।শুধু মনে হচ্ছে, আমি যদি ওদের সঙ্গে চলে যেতে পারতাম ভালো হত। এমনকি শহীদ বলে আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এখন এই ছবিটা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়লে, এতদিন ধরে দাবি করে আসা ভারতের কথা সত্য প্রমাণিত হবে। ভারত এতদিন বলেছিল পাকিস্তান জঙ্গিদের মদত দেয়। আর সেটাই প্রমাণিত হল।
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শাহবাজ শরীফ পাকিস্তান সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নিরীহ পাকিস্তানিদের প্রাণহানি এবং সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ দেওয়ার জন্য যেকোনো সময়, স্থান ও পদ্ধতিতে আত্মরক্ষায় প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। এখন দেখার পাকিস্তান আদৌ কতটা আঘাত আনতে পারে ভারতের বুকে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মক্কা মদিনা এতদিন যুদ্ধের রব তৈরি করে, এখন বলছে, যুদ্ধ যেন না করা হয়। দুপক্ষ যেন বিষয়টি আলোচনা করে মীমাংসা করে নেয়। বাংলাদেশ বিবৃতি দেয়, যেন দুই দেশ ধৈর্য প্রদর্শন করে। কিন্তু তারা যে পাকিস্তানের পক্ষেই রয়েছে সেটা জানে গোটা বিশ্ব। এখন দেখার, বাংলাদেশের প্রতি কি পদক্ষেপ করে ভারত।
Discussion about this post