প্রকৃতির রোষের কাছে আজ পর্যন্ত বাদ যায়নি কেউ। সম্প্রতি আমরা দেখেছি কেদারনাথ থেকে সিকিমের বিপর্যয়। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বানভাসি হয়ে বিপর্যস্ত হয়েছিল জনজীবন। প্রকৃতির রোষে কবলে প্রাণহানিও হয়েছিল অনেকের। তবে এবার আর মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নয়, ভূমিধসের কবলে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পাপুয়া নিউ গিনির কাওকালাম গ্রাম। এই গ্রামটি পিউপা নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরসবি থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গোটা গ্রামটিই প্রায় মাটির নীচে চাপা পড়েছে, তাতে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর সামনে আসতেই উদ্ধারকার্যে নামে উদ্ধারকারী দল। জোর কদমে চলে উদ্ধার কাজ। উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয়রাও। ধ্বংসাবশেষ থেকে এখনও পর্যন্ত ৬৭০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে । তাদের মধ্যে কেউ কেউ জীবিত রয়েছে বলে জানিয়েছে পাপুয়া নিউ গিনি সরকার। অনুমান করা হচ্ছে, ভূমি ধসের জেরে জীবন্ত কবরে গিয়েছেন সেই দেশের প্রায় ২০০০ জনের বেশি মানুষ। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে গোটা বিশ্বের কাছে সহায়তার জন্যে প্রার্থনা করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্র।
ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার। তখন প্রায় ভোর রাত। ঘড়িতে তখন রাত ৩ টে। পাপুয়া নিউ গিনির কাওকালাম নামের গোটা গ্রামটি তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এমনভাবে প্রকৃতির রোষের মুখে পড়তে হবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। ফলে কিছু বুঝে ওটার আগেই, প্রবল ভুমি ধসের কবলে পড়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে যায় গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই ভুমিধ্বসের সেই ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৩ দিন। মনে করা হচ্ছে, এত বড় বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে, তার ফলে সময় যত এগোবে, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকবে মৃতের সংখ্যা। এখনও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। পাশাপাশি, ধ্বংসস্তুপের পাশে গর্ত করে দেহ উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যেই মাটি খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নিয়ে হাজির হয়েছে দেশের সামরিক বাহিনীও। যদিও তাঁরা এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছেও কাজ শুরু করতে পারেনি। সূত্রের খবর, গ্রামবাসীদের একাংশের মত, ধ্বংসস্তূপ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের প্রিয়জনের দেহ বের করে আনা হোক। আবার অনেকের মতে ভারি যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করলে ভূমি ধসে চাপা পড়ে থাকা দেহগুলির ক্ষতি হতে পারে। গ্রামবাসীদের এই দ্বি-মতের জেরেই মাটি খোঁড়ার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা যায়। তবে কী কারণে এই ভূমিধস তা এখনও জানা যায়নি। প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া গ্রামে।
রইল ভিডিও…
Papua New Guinea landslide buried more than 2,000 people, the government said. The landslide crashed through six villages in the Maip-Mulitaka district in the country’s north at around 3 a.m. on Friday while most of the community slept https://t.co/6MUQUAUgfV pic.twitter.com/mvty4x1pJs
— Reuters (@Reuters) May 27, 2024
Discussion about this post