লোকসভা ভোটের প্রচারে সংবাদমাধ্যমে বিজেপির দেওয়া কয়েকটি বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যার প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। প্রথমে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, পরে ডিভিশন বেঞ্চের রায় বিজেপির বিপক্ষে যায়। সেই রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও ধাক্কা খেল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট।
বিজেপির বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে বাংলার শাসকদলের বক্তব্য ছিল, বিজেপির বিজ্ঞাপনে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে এমন কিছু শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে যা আপত্তিজনক। যা নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা হয়। গত ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ ওই বিজ্ঞাপনগুলিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে উল্টে বিজেপিকেই ভর্ৎসনা করেন। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেয়, যে কোনও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে একটা লক্ষণরেখা থাকা উচিৎ। এরপরই বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে।
সুপ্রিম কোর্টে বিজেপির আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, এটা শুধু বিজ্ঞাপনের মঘ্যে সীমাবদ্ধ নেই। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর আদালতের হস্তক্ষেপ হচ্ছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপির মামলাটি শুনতেই চায়নি। সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী এবং বিচারপতি কেডি বিশ্বনাথের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই মামলা নিয়ে কোনও বক্তব্য থাকলে কলকাতা হাইকোর্টই শুনবে।
Discussion about this post