বাঙালির কাছে সমুদ্র বলতে প্রথমেই যার নাম মুখে আসে সেটা হল দিঘার সৈকত। উইকএন্ড হোক বা দুটো ছুটির দিন হাতে পেলেই অনেকে ছোটেন দিঘায়। কিন্তু এর মধ্যে যারা দিঘা যাওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা সাবধান। এই দু-দিন গিঘার কোনও হোটেলে বুকিং নেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। কেন এমন সিদ্ধান্ত? উত্তর হল অবশ্যই ভোট।
আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ভোটগ্রহন কাঁথি লোকসভা আসনে। দিঘা, শঙ্করপুর এলাকা কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ফলে ভোট চলাকালীন যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যায়, যাতে বহিরাগত দুস্কৃতিরা দিঘার হোটেলগুলিতে আশ্রয় নিতে না পারেন সেই কথা মাথায় রেখেই বন্ধ রাখা হচ্ছে হোটেল। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মেনেই ভোটের দুই দিন আগে থেকে এলাকায় কোনও বহিরাগত থাকতে পারেন না। ফলে কোপ পড়ল বাংলার জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্রে। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ ২৩ মে থেকেই দিঘার হোটেলগুলি খালি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ-প্রশাসন। যদিও হোটেল খালি করার কোনও নোটিশ জারি করা হয়নি এদিন। হোটেল মালিকদের মৌখিকভাবে বলা হয়েছে হোটেল খালি করতে। ফলে তাঁদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এখন রাজ্যে গরমের ছুটি চলছে। ফলে উইকএন্ডে দিঘা, মন্দারমনি, শঙ্করপুর, তাজপুরের হোটেলগুলিতে ভালোই বুকিং থাকছে। সাধারণ দিনগুলিতেও দিঘার হোটেলে ভালো ভিড় হচ্ছে। দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পুলিশ-প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে, ২৩ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত যাতে পর্যটকরা কোনও সমস্যায় না পড়েন তার জন্য হোটেল বুকিং বন্ধ রাখতে। আমরাও সেই মর্মে সমস্ত হোটেল মালিকদের জানিয়েছি। ২৫ তারিখের পর বুকিং নিতে বলেছি। কিন্তু কোনও সরকারি নোটিশ না দেওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। এছাড়া ক্ষতির বিষয়টি তো রয়েছেই। অপরদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, দিঘা, মন্দারমনির মতো এলাকায় হোটেলগুলিতে নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। যাতে বহিরাগতরা ডেরা বাঁধতে না পারে।
Discussion about this post