১০ই জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পরই দুই পরিবারের সম্মতিতে ২রা মার্চ অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে সাত পাঁকে বাধা পড়েন অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। হাঁটুর বয়সী মেয়ে শ্রীময়ীকে বিয়ে করা নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় জল ঘোলা হলেও তা নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা হয়নি তারকা দম্পতির। নিয়ম মেনে ভাত কাপড়ও শ্রীময়ীকে দেয় কাঞ্চন। ঘটনার সূত্রপাত হয় ৬ই মার্চ রিশেপসনের দিন থেকেই। পার্ক স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্কোয়েটে আয়োজন করা হয় রিশেপসন অনুষ্ঠানের। ব্যাঙ্কোয়েটের ভেতরে চলছে বৌভাতের অনুষ্ঠান। এদিকে ব্যাঙ্কোয়েটের হলে ঢোকার মুখেই একটি বোর্ডে ইংরেজি হরফে লেখা ‘প্লিজ, প্রেস অ্যান্ড পার্সোনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ড্রাইভার্স আর নট অ্যালোউড’। যা বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘‘দয়া করে সাংবাদিক, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকের প্রবেশ নিষেধ। এমনিতেই কয়েকদিন ধরে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ে নিয়েসরগরম সমাজমাধ্যম। সেই সঙ্গে ছিল ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ, চর্চা, সমালোচনার ঢলও । এবার সেই আগুনেই নতুন করে ঘি পড়ল বৃহস্পতিবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগে।
২০ শে মে রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ভোট হতে চলেছে বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগে। ২০ শে মে আসতে বেশ কিছুদিন দেরি আছে। তাই প্রচারের ময়দানে কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রার্থীরা। অন্যান্য জায়গার মতো শ্রীরামপুরেও জোড় কদমে প্রচার সারছেন প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কল্যাণবাবুর নির্বাচনী প্রচারের সফর সঙ্গী ছিলেন অভিনেতা তথা উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। ছিলেন অন্যান্য দলীয় নেতৃত্বরাও। প্রচারে প্রার্থীর সঙ্গে অভিনেতাকে দেখে ক্ষুদ্ধ হয়েওঠে গ্রামবাসীদের একাংশ। এরইমাঝে প্রচার চলাকালীন আচমকাই প্রার্থীকে বলতে শোনা যায় এত মানুষ গাড়িতে উঠলে তিনি নেমে যাবেন। এরপরই কাঞ্চন মল্লিক গাড়ি থেকে নেমে যান। যদিও, এবিষয় প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কাঞ্চনকে মানুষ পছন্দ করে না, আগেই ওকে আগেই বারণ করে দিয়েছিলাম গ্রামে এসো না। আমি ব্যক্তিবিশেষের জন্য নই, আমি সমষ্টিগত মানুষের সুখের জন্য। একজনের সুখের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না।’ তৃণমূল প্রার্থীর এরূপ মন্তব্যে আলোরণ ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।
যদিও এঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক বলেছেন, “আমাকে নামিয়ে দেননি। আমি যখন প্রার্থীর গাড়িতে উঠলাম তখন বললেন, ‘গ্রামে প্রচারে যেও না। গ্রামের লোকেরা তোমাকে দেখলে রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে । আমাকে ভোটটা করতে দাও।’ আমাকে বলেছে, আমি নেমে গেছি। ভোটপ্রচারে ওর কী স্ট্র্যাটেজি আমি জানি না। দলীয় হয়ে লোকসভার প্রার্থীর প্রচারে গেছিলাম। বলেছেন নেমে যেতে, নেমে গেছি।” গত বৃহস্পতিবারে শ্রীরামপুরে নির্বাচনী প্রচারে কাঞ্চনকে নিয়ে কল্যান যা করেছেন তা ঠিক করেছেন বলে জানিয়েছে দল। তবে এর থেকে স্পষ্ট অভিনেতা বিধায়কের হয়ে নয়, বরং ভোট বাক্সের কথা মাথায় রেখে প্রার্থীর পাশেই দাঁড়িয়েছে দল।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তাঁর দল তৃণমূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। লোকসভা...
Read more
Discussion about this post