লোকসভা প্রচারে এসে আমিষ বনাম নিরামিষের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা নিয়ে লোকসভা ভোটের আবহে বিতর্কও চলছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, আসলে ভোটের মুখে মেরুকরণের তাস খেলছেন নরেন্দ্র মোদি। অপরদিকে মোদি বলছেন “দেশের আইন কাউকে কিছু খেতে বাধা দেয় না। এই মোদিও কাউকে আটকায় না। সকলের স্বাঘীনতা রয়েছে, নিরামিষ বা আমিষ খাওয়ার”। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ব্যারাকপুরের প্রকাশ্য জনসভা থেকে তিনি নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। নিজের হাতে রান্না করে চিংড়ির মালাইকারি খাওয়ানোর প্রস্তাবও দিলেন।
ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে গত রবিবারই জগদ্দলে প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পরদিনই পাল্টা সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের সমর্থনে জনসভা করেন পলতায়। ওই মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী মোদির আমিষ-নিরামিষ বিতর্ক খুঁচিয়ে তোলেন। তিনি বলেন, দেশের যাঁর যা ইচ্ছা তিনি তাই খাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বরং একবার মাছ খেয়ে দেখুন। তিনি নিজের হাতেই রান্না করে খাওয়াবো। তিনি অবশ্য এই দাবিও করেন, মোদি যদি বলেন তবে তিনি ধোকলা বা দোসা খেতেও রাজি।
ব্যারাকপুরের সভা থেকে মমতা অভিযোগ করেন, “এখন বলে বেড়াচ্ছেন, মাছ খাবেন না, মাংস খাবেন না, ডিম খাবেন না। তা হলে কি ব্যাঙের ছাতা খাবে? আপনি জোগাড় করে দিন। যার যা ইচ্ছা, খাবে। যে নিরামিষ ভালবাসে, সে নিরামিষ খাবে। যে আমিষ খায়, সে তা-ই খাবে। এ দেশ আমাদের সকলের। নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান”। এরপরই বিভিন্ন আমিষ পদের নাম করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “কেউ চিংড়ি পটল ভালবাসে, কেউ চিংড়ির মালাইকারি ভালবাসে। মোদীবাবু, আপনি খেয়ে একটু দেখুন না স্বাদটা কেমন? খেয়ে দেখবেন? তৈরি করে দেব? কথা দিচ্ছি, কাউকে দিয়ে করাব না, নিজে রান্না করব”। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে নিরামিষাশী।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তাঁর দল তৃণমূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। লোকসভা...
Read more
Discussion about this post