তীব্র তাপপ্রবাহে নাজেহাল বঙ্গবাসী। পারদ ছুঁয়েছে ৪৫ ডিগ্রির কাটা। গরমের জ্বালায় ঘর থেকে বেরোনোই দায় সাধারণ মানুষের। হাওয়া অফিস আরও কয়েকদুন তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। অপরদিকে ঠিক এর উল্টো চিত্র কাশ্মীরে। সেখানে গত কয়েকদিন ধরে চলছে ভারী বৃষ্টিপাত, সেই সঙ্গে দোসর তুষারপাত ও ধস। ফলে জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত কাশ্মীরবাসীর। গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও তুষারপাতের জেরে কাশ্মীর উপত্যাকার বিস্তৃর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বারামুলে, রিয়াসি ও কিশতওয়ার জেলায়। কুপওয়ারায় হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। বেশ কিছু রাস্তায় ধসের জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু এলাকায়। একটনা বৃষ্টি ও হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত ৪ জনের ভেসে যাওয়ার খবর মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে দুজনের মৃতদেহ। সবমিলিয়ে, বান, ভূমিধস ও দুর্ঘটনায় গত দুদিনে কাশ্মীরে ১২ শিশু-সহ ২২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায় তুষারপাত শুরু হয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় তুষারধসের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে গোটা কাশ্মীর জুড়েই। ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাশ্মীরে স্কুল ও কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গোটা উপত্যকার সঙ্গে কুপওয়ারার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। উত্তর কাশ্মীরের হিন্দোয়ারা ও কুপওয়ারাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জাতীয় সড়ক জলের তলায়, এখনও বহু এলাকা জলমগ্ন। প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিনশো পরিবারকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত কাশ্মীর উপত্যকায় ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে দিল্লির মৌসম ভবন। শুধু কাশ্মীর নয়, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বহু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। তবে বুধবার থেকে পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
Discussion about this post