সরকারি স্কুলের স্যার-ম্যাডামরা অনেকেই টিউশনি পড়ান। সেখান থেকে মোটা টাকা আয়ও করেন। অথচ পুরোটাই নিয়মবিরুদ্ধ। এবার সেই নিয়েই কড়া নির্দেশিকা জারি করল পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে টিউশনি পড়ালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার হাল ফেরানোর জন্য আরও কঠোর হচ্ছে রাজ্য সরকার। গৃহ শিক্ষক সংগঠন বারে বারে এই বিষয়ে আন্দোলন করে এসেছে। কারণ এর ফলে প্রকৃত গৃহ শিক্ষকদের রুজি রুটিতে যেমন টান পড়ছে অন্যদিকে বেআইনিভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা টিউশন পড়িয়ে সরকারি আইন অমান্য করছেন। গত ১৮ জুলাই পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিস থেকে একটি নোটিশ জারি করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। এই সংক্রান্ত ব্যাপারে আসা অভিযোগগুলির মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই তদন্ত করে দেখতে হবে। এই মর্মে বিদ্যালয় পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এর এই পদক্ষেপ কে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করেই রমরমিয়ে চলছিল সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা। শিক্ষা মহল যাকে ‘শিক্ষার নামে প্রহসন’ বলেই আখ্যা দিয়েছে। কারণ, সরকারি স্কুলে মোটা অংকের বেতন পাওয়ার পরও আলাদা করে প্রাইভেট টিউশন পড়ানো শিক্ষকদের কাছে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। এবং যার ফলে প্রকৃত গৃহ শিক্ষকদের কাছে তেমন ভাবে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসতো না। সেক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের মাথায় থাকত স্কুল শিক্ষকের কাছে পড়লে পরীক্ষার আগে সাজেশন পাওয়া যাবে। যা দিয়ে অনায়াসে পরীক্ষায় পাশ করে যেতে পারবে পড়ুয়ারা। কিন্তু এতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল গৃহশিক্ষকদের।
সন্দীপ ঘোষ কান্ডের পরেই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে থ্রেট কালচারের অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। মেডিকেল শিক্ষা জগতে উত্তরবঙ্গ লবির...
Read more
Discussion about this post