নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দিকে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। অত্যাচারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে সেখানকার সনাতনী হিন্দুরা। আর এই ঘটনায় এইবার মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি, বাংলাদেশে পালাবদল হয়েছে। গঠিত হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। সেই সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু শান্ত হচ্ছে না বাংলাদেশ। এইবার রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করেছে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। যা ঘিরে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। সনাতনী হিন্দুরা পথে নেমেছে। বিক্ষোভ করছেন। নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। সেই দাবি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে আমাদের এই রাজ্যেও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী তিনিও রাস্তায় নেমেছেন। এইবার এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। এটা কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই দলগতভাবে মানবে এই রাজ্যও। তবে বাংলাদেশে যা ঘটছে তা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের ডিডি পুলিস। এমনকি তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদলত। সেই ঘটনার পর থেকে অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এমনকি, এই নির্দেশের পর আদলত চত্ত্বরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আদালত চত্বর। পুলিসের প্রিজন ভ্যান প্রায় তিন ঘন্টা আটকে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এমনকি আদলত চত্বরে চিন্ময়কে নিয়ে বের হতে গেলে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। এদিকে পরিস্থিতি শান্ত করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল।
এখনও অশান্ত হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি কবে আয়ত্তে আসে সেই দিকেই নজর রয়েছে প্রত্যেকের।
Discussion about this post