আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য তাঁকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে বলল চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল। গত ৬ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লেখেন, “সড়ক দুর্ঘটনার পরে কোনোরকম চিকিৎসা না পেয়ে ৩ ঘণ্টা ধরে রক্তপাতের পর কোন্নগরের একটি তরুণ প্রাণ হারাল। আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে ডাক্তারদের যে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে, এটি তারই পরিণতি।” এরপরই রবিবার জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরসের তরফে অভিষেককে পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আপনি ৬ সেপ্টেম্বর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন যে আরজি করের বিক্ষোভের জেরে কোন্নগরের এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় কোনও চিকিৎসা ছাড়াই ৩ ঘণ্টা পড়েছিলেন। বাস্তবে, সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টায় ওই যুবকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তাঁর চিকিৎসা হয়েছে।
আপনার ভিত্তিহীন দাবির জন্য চিকিৎসকরা বিপদে পড়তে পারেন। অযাচিত হিংসাকে উস্কে দিতে পারে। আমাদের দাবি, নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আপনার এই ভুল তথ্য প্রত্যাহার করুন।” উল্লেখ্য, কোন্নগরের বেঙ্গল ফাইন মোড়ে দুর্ঘটনার শিকার হন বিক্রম ভট্টাচার্য নামে এক যুবক। শুক্রবার তাঁর দুই পায়ের উপর দিয়ে লরি চলে যায়। প্রথমে শ্রীরামপুর হাসপাতাল এবং পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। অভিযোগ ওঠে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই নাকি বিনা চিকিৎসায় তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে এরপরে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার দাবি করেন, বিক্রম ভট্টাচার্য নামে ওই যুবককে আরজি কর মেডিক্যালে রেফার করাই হয়নি। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। যদিও দাবি করা হচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অন্তত ২ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন যুবক। তার পর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। এই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন আরজি করের এমএসভিপি। তিনি জানান, চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি রয়েছ তাদের কাছে।
Discussion about this post