বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বিদেশ সফর থেকে ফিরেছেন দেশে। তারপরই বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনী নিজেদের ফর্মে ফিরেছে। বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেছে অ্যাকশন। তবে কি এইবার দেশে আইন শৃঙ্খলা ফের আয়ত্তে আসবে?
শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ঢাকা বিমান বন্দরে না নেমে তেজগাঁও বিমানবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছেন। ফলে এই বিষয়টি থেকে উঠে এসেছে নানা জল্পনা। এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে নাকি তিনি একাধিক আদেশ দিচ্ছেন। যাতে দেশে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়। আসলে বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি একই হয়ে রয়েছে মোহাম্মদ ইউনূসের দেশে। আর এরমধ্যেই মার্চ ফর খিলাফতের ডাক হিজবুত তাহরীর। ঢাকা দখল করতে চায় এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠী। আসলে বাংলাদেশে খিলাফত গড়ার ডাক দিচ্ছে তারা। শুক্রবার ঢাকার রাজপথে দেখা গিয়েছে শয়ে শয়ে মৌলবাদীকে মিছিল করতে। বাংলাদেশ কিভাবে সন্ত্রাসী দেশে পরিণত হচ্ছে, তার বড় প্রমাণ এদিন। যদিও এই সংগঠনটির মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিস। শুক্রবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠে ঢাকার রাজপথ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যেদিন সেনাপ্রধান বাংলাদেশে ফিরলেন, সেই দিনই এই ঘটনা লক্ষ্য করা গেল। তবে কি এর মধ্যে দিয়ে হিজবুত তাহেরী বিশেষ কোনও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল?
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার আমলে হিজবুত তাহেরীর মতো অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি কোনওভাবেই বেড়ে উঠতে পারেনি। হাসিনার সরকার তা করতে দেয়নি। কিন্তু এখন গোটা দেশে চলছে নৈরাজ্য। ইউনূসের আমলে গোটা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী গুলি মাথাচারা দিচ্ছে। আর এর সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে।
এরমধ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, কিছুদিন আগে বেশ কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনি মূলত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দেশকে ঠিক রাখতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করলে হবে না। এতে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। অর্থাৎ ঘুরপথে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের দিকে আঙুল তুলছেন তিনি। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল, সেনাপ্রধান যখন বুঝতে পারছেন, দেশ লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে, কেন তিনি রাশ টানছেন না? সামান্য কোনও বক্তব্যে কি আদেও কাজ হবে? বলছেন অনেকে।
যদিও বাংলাদেশ নাকি খানিকটা আয়ত্তে ফিরেছে। বলছেন, সেদেশের বহু মানুষ। কিছুটা মানুষ নিরাপদে রয়েছেন। তবে কি সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে দিল? এর আগে দেখা গিয়েছিল, দেশের অন্দরে পুলিস সেভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিল না। সেনাবাহিনীকেও দেখা যাচ্ছিল না। গোপন সূত্রে খবর, সেনাবাহিনীকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। কিন্তু এখন যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিজেদের ফর্মে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এখন দেখার, শেষমেশ বাংলাদেশে শান্তির পরিবেশ কতদিন বজায় থেকে।
Discussion about this post