রবিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলের মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ স্পর্ষ করেছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরপর সোমবার দিনভর বাংলাদেশে তাণ্ডব চালায় ঝড়-বৃষ্টি। কিন্তু শক্তি হারিয়েও বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে রেমাল পৌঁছে যায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে। মিজোরাম, ত্রিপুরাতেও অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে রেমালের দৌলতে। মঙ্গলবার সকালেও মিজোরামে চলছে প্রবল বৃষ্টি। আর তাতেই পাথরখনিতে ধস নেমে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিকের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মিজোরামের রাজধানী আইজল শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠ মেলথুম ও হ্লিমেন এলাকার মাঝামাঝি একটি স্থানে।
মিজোরাম প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই অবিরাম বৃষ্টি চলছে মিজোরামে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরেই এই বৃষ্টি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মিজোরামের রাজধানী আইজলের আশেপাশের এলাকায় নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে নদীতীরবর্তী এলাকার বহু মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও দুর্ঘটনা ঠেকানো যায়নি। আইজলের উপকন্ঠে মেলথুম ও হ্লিমেন এলাকার মাঝামাঝি একটি পাথরখনিতে ভয়াবহ ধস নামে মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ। তাতেই চাপা পড়ে অন্তত ১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও বহু শ্রমিক নিখোঁজ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুঁটে গিয়েছে পুলিশ, দমকল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।
মিজোরামের ডিআইজি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মিজোরামের দক্ষিণ অংশের বহু এলাকায় অতি প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর জেরে বহু এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। একটি পাথরখনিতে ধসের জন্য বহু হতাহতের খবর পাওয়া গিয়েছে। চলছে উদ্ধারকাজ। অপরদিকে হাণ্টারের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের জেরে আইজল শহর দেশের বাকি অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন।
Discussion about this post