ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ চরণে শনিবার দেশের অন্যান্য রাজ্যে মোটামুটি ভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা উত্তর, দক্ষিণ, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম, মথুরাপুর, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রসহ পশ্চিমবঙ্গের নয়টি কেন্দ্রের একাধিক বুথ।
ভোটের দিন দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। বারুইপুরে হিমছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বাম প্রার্থী সৃজন বট্টাচার্য। তাঁকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এরপরই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সৃজন। আরও তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সৃজনের অভিযোগ, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। তিনি জমায়েত সরাতে নির্দেশ দেন পুলিশকে। এরপরই ক্ষিপ্ত জনতা তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
অন্যদিকে, যাদবপুরের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ২৯৭, ২৯৮, ২৮১, ২৮২, ২০৪, ২৮০ বুথে এজেন্টদের বুথে বসতে দেওয়া হয়নি, ভয় দেখিয়ে বের করে দেওয়ার করার অভিয়োগ সিপিএম-এর। এজেন্টদের হুমকি , মারধরের অভিয়োগ।
অপরদিকে, উত্তেজনা ছড়ালো গাঙ্গুলিবাগানেও। কলকাতা পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁচাতে গিয়ে আহত হন এক প্রবীণ সিপিএম কর্মী। এরপর তাঁকে দেখতে যান সৃজন ভট্টাচার্য।
যাদবপুরের পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়ালো ডায়মণ্ড হারবারেও। এই লোকসভা কেন্দ্রের ২৭১ নং বুথ, আটকৃষ্ণপুর জুনিয়র হাই স্কুলে সিপিআই(এম) এজেন্টের কাগজ কেড়ে নিয়ে নিজেকে সিপিআই(এম) এজেন্ট বলে দাবি শাসক দলের নেতার। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে কমরেড প্রতীক উর রহমান পৌঁছে চিহ্নিত করেন তাঁকে। ভুয়ো এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
ফলতা বিধানসভার বিভিন্ন বুথে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস নিজে যখন এলাকায় ঢোকেন এবং পরিদর্শন করেন তার অভিযোগ একাধিক বুথে সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা গুলোকে ঘুরিয়ে রাখা হয়েছে এবং কিছু সিসিটিভিতে টেপ দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অপরদিকে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ছাপা মারছে মেরে ভোট করিয়ে নিচ্ছে এমনটাই অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী।
অপরদিকে শেষ পর্বের ভোটে চূড়ান্ত উত্তেজনা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালিতে। এখানকার বেড়মজুর গ্রামের আট পাড়ায় গতরাতে পুলিশের সঙ্গেই এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালায় তৃণমূল, এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। এই এলাকায় বিজেপির প্রভাব রয়েছে। সেই কারণে রীতিমতো পরিকল্পনা করে তৃণমূল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি BJP-র।
বসিরহাটের পাশাপাশি ভোটের দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দমদম লোকসভা কেন্দ্রও। ঘোলা জনসংঘ স্কুলে উত্তেজনা। এজেন্টদের ভয় দেখানোর অভিযোগ পেয়ে বুথে যান বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। এই বুথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বাম প্রার্থী। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সামান্য গণ্ডগোল কথাকাটাকাটি হয় সেটা মিটিয়ে নিয়ে ভোট শান্তিপূর্ণ হোক সেটা বলে গেলাম সবাইকে’।
সোদপুর নন্দনকানন এলাকায় বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তকে দেখে স্লোগান পাল্টা স্লোগান। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের পানিহাটি বিধানসভার নন্দনকানন এলাকায় শনিবার বিকেলে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে যান প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। সেই সময় তাকে দেখে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীরা গো ব্যাক স্লোগান দেয়, ঘটনাস্থলে বিজেপি কর্মীদের পক্ষ থেকেও পাল্টা স্লোগান দেওয়া হয়।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তাঁর দল তৃণমূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। লোকসভা...
Read more
Discussion about this post