একটানা বৃষ্টি এবং ধসে বিধ্বস্ত সিকিম। বিপর্যস্ত জনজীবন, বিপাকে পর্যটকরা। তবে আপাতত দুর্যোগ কাটার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরের সমতলে ঝলমলে আকাশে রোদের ঝিলিক। গত ১২ জুন থেকে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ফুলের স্বর্গরাজ্য সিকিম কার্যত বিধ্বস্ত। দক্ষিণ এবং উত্তর সিকিমের বহু জনপদ শুক্রবার পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন দেশের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে।
গত কয়েক দিন ধরে চলা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহীণ মানুষের সংখ্যার তালিকা ক্রমশই যেন লম্বা হচ্ছে তিস্তা নদীর মতই। ‘এই মুহূর্তে ভগবানই ভরসা আমাদের’, ধসে বাড়ি ঘর হারিয়ে পঞ্চায়েতের দেওয়া ত্রিপোলের নিচে রাত কাটানো উত্তর সিকিমের জনৈকা অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর সহনশীলতার প্রমাণ দিয়ে মুখে একগাল হাসি নিয়ে দিলেন বর্তমান অবস্থার বর্ণনা। অপরদিকে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে শুক্রবার ২১ জুন সমতলে চলবে অতি ভারি বৃষ্টি। যদিও সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি সহ সমগ্র ডুয়ার্স জুড়েই দেখা দেয় রোদ ঝলমলে আকাশ। দীর্ঘ সময় পর রোদের দেখা মেলায় ফুরফুরে মেজাজে জলপাইগুড়িবাসী।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরে পাহাড় থেকে সমতলে ব্যাপক বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছিল লাল সঙ্কেত। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ঝলক রোদের দেখা মেলার পরেই জলপাইগুড়ির আকাশ ঢেকে গিয়েছিল কালো মেঘে। বিগত কয়েক দিন ধরেই চলছে পাহাড় সমতলে বৃষ্টি। গত চব্বিশ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৬.৫০ মিলিমিটার, এর সঙ্গে গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজের থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৩২৯৫.১৮ কিউসেক।
সব মিলিয়ে সমতলে ফুঁসছিল তিস্তা। বৃহস্পতিবার মেখলীগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসুরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সঙ্কেত বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। অর্থাৎ কোচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসুরক্ষিত এলাকায় জারি ছিল লাল সতর্কতা। জলপাইগুড়ি জেলা জুড়েই রাতভর বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি। তিস্তা মেখলিগঞ্জ বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত জারি ছিল হলুদ সতর্কতা। দুপুরে পরে লাল সংকেত জারি করা হয়। জলঢাকা নদীতে সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক।
Discussion about this post