ফের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে সুন্দরবনের মৎস জীবীরা।আবারো মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ঘন্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় আসার সম্ভাবনা রয়েছে, এর ফলে সমুদ্র উত্তাল হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো আবহাওয়া দপ্তর এবং মৎস্যদপ্তর।
উল্লেখ্য সোমবার অবধি মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপর ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিলো। আর তাই এতদিন ঘরে বসেই দিন কাটছিলো তাদের এর উপর নতুন করে সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বড়সড় ক্ষতির মুখে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। ব্যাপক আর্থিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা। অন্যদিকে এর আগে পূর্ণিমার ভরা কোটালে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে উল্টে গিয়েছিল মাছ ভর্তি দুটি নৌকা। ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবী। ওই দুটি নৌকায় প্রায় ৪০-৫০ কুইন্টাল মাছ ছিল। নৌকোগুলি উল্টো যাওয়া সমুদ্রেই তলিয়ে যায় মাছগুলি।শুধু তাই নয় ভাঙনের কবলে পড়েছে কপিলমুনির আশ্রম। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গিয়েছে এলাকার গাছ। আশ্রম চত্বর লাগোয়া দোকানগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটিও। অনেক অস্থায়ী দোকানও ভেঙে গিয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ীরা। তারা দোকান থেকে মালপত্র সরিয়ে ফেলেছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে মাঠে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ফলে একের পর এক বিপর্যয় লেগেই রয়েছে। তার ওপর খারাপ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আর্থিক সংকটে পড়েছে মৎস্যজীবীরা।
Discussion about this post