বাংলাদেশে চলছে চরম অরাজকতা। তার মধ্যে একটি বিষয় ঘোষণা করেছেন মোহুমুদ ইউনুস। ইউনূসের এই ঘোষণায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপি। কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে, কি সেই ঘোষণা, যা নিয়ে তোলপাড় বাংলাদেশ।
গত ছয় মাসে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে চুরি, অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি এত পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সাধারণ মানুষ বলছেন, আগেই ভালো ছিল। কিন্তু কেন এত বৃদ্ধি পাচ্ছে অসামাজিক কাজ? অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা লাটে উঠে গেছে। কোন লাগাম নেই। কোন শৃঙ্খলা নেই। অসামাজিক ব্যক্তিরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছে। তাতে হেলদোল নেই প্রশাসনের। এমনকি থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হলে, তারও ঠিকমত তদন্ত করা হচ্ছে না। ফলের চরম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বাংলাদেশে জুড়ে।
তবে এই অসামাজিক কাজের বৃদ্ধি শুধুমাত্র আইনশৃংখলার অবনতির কারণে? রাজনৈতিক মহলের একাংশ এর পিছনে দেখছেন রাজনীতি। সেটা কি রকম? চলুন বোঝার চেষ্টা করি। এই ছয় মাসে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের ছোট বড় সমস্ত ব্যবসায়িক থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এমনকি যারা জমি থেকে ফসল তুলে বাজারে বিক্রি করছেন, তাদের থেকেও চাঁদা তোলা হচ্ছে। আর এই বিপুল অর্থ ভোগ করছে স্বার্থান্বেষী কিছু দল। যারা চাঁদা তুলছেন, তারা রাজনৈতিক দলগুলির তৃণমূল স্তরের কর্মী।
তারা দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠছে। আর এদিকে বাজারে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দাম। বিষয়টি তদারকি সরকার জানলেও তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে এবার একটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোহাম্মদ ইউনুস।
রমজান মাসে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যালেন্স রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মোহম্মদ ইউনূস। যমুনাভবনে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তদারকি সরকারের প্রধান। তারপরই এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা।
তবে প্রশ্ন উঠছে, শুধু রমজান মাস কেন? যত দিন না জিনিসপত্রের দাম লাগাম টানা যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত নয় কেন? তবে কি তদারকি সরকার জেনে বুঝে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন? তবে এই সিদ্ধান্তে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তেমনটাই মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীরা এই ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত তা স্পষ্ট করে জানে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। তারপরও কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে এত বিলম্ব কেন?
Discussion about this post