হাসিনা দেশত্যাগ করতেই তড়িঘড়ি ইউনূসের কাছে ফোন যায়। দেশের প্রধান হওয়ার জন্য ইউনুসকে কে ফোন করেছিল জানেন? কারা গিয়েছিল ইউনুসের কাছে ? নাকি আগে থেকেই ঠিক ছিল কে হবে বাংলাদেশের প্রধান? এই নিয়ে সামনে এল বিরাট খবর।
শেখ হাসিনার পতনের পর তার দেশ ত্যাগ, এবং ইউনুসের ক্ষমতায় আসা…পুরো ঘটনাটি রহস্যজনক। মোহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের মাথায় বসার পর তিনি নিজেই বলেছেন, প্যারিসে চিকিৎসাধীন থাকার সময় হঠাৎই ছাত্রনেতাদের ফোন পান। যারা তাকে বাংলাদেশের প্রধান হতে অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন তাকেই বেছে নেওয়া হল দেশের দায়িত্ত্ব নেওয়ার জন্য? তবে কি হাসিনার দেশ ত্যাগের আগেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল? আর যদি না নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে এত বড় একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এত দ্রুত কিভাবে নেওয়া হল? যা নিয়ে তৎকালীন সময়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। পরবর্তীকালে যে ঘটনা ঘটল তা কি ছাত্র আন্দোলনের ফসল, নাকি রাজনৈতিক কোনও কৌশল, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচুতো করার অপেক্ষায় ছিল!
এর উত্তর খোঁজা সময়ের দাবি রাখে। তার কারণ, যদি এটি পরিকল্পিত হয়, তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। আর যদি এটি কেবল আকস্মিক ঘটনা হয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জন্ম দেয়। বাংলাদেশ, পূর্বে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক নাটকীয় মোড় নিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার দেশত্যাগ এবং তড়িঘড়ি মহম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় আসা, একটি বিরল ঘটনা। সাম্প্রতিক সময়ে, একটি পটকাস্টে মোহাম্মদ ইউনুসের বেশ কিছু বিবরণ অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছে। তিনি বারবার বলেছেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাহলে এখানে প্রশ্ন ওঠে, যে ছাত্র নেতারা ইউনুস কে ফোন করেছিলেন তারা কি শুধুই সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, নাকি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তারা?
রাজনৈতিক পালাবদল যখন অস্বচ্ছ উপায়ে ঘটে, তখন দেশের গণতন্ত্রের জন্য তা হুমকি হয়ে ওঠে। আর যদি বাংলাদেশের ছাত্রদের আন্দোলন হয়, তবে কিভাবে তা ঘটলো, তা পুঙ্খানু ভাবে মূল্যায়ন করা উচিত। কারণ এর জেরে, দেশের পরিস্থিতি গোটা বিশ্বের দরবারে অতি দুর্বল হয়ে পড়ে।
Discussion about this post