আওয়ামি লীগের গোপন বৈঠকের কথা উঠে আসছে। কলকাতার একটি হোটেলে নাকি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই বৈঠক। তবে এই বৈঠকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন তাই নয়, উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে। তালিকায় রয়েছে চমকপ্রদ সব নাম। কারা জানেন?
বাংলাদেশ এখনও অশান্ত। তার মধ্যে দেশে নেই কোনও স্থায়ী সরকার। ফলে দিন দিন অশান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু নিজের দলের
সংগঠনকে শক্তিশালী রাখতে নিজের মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ফলে আওয়ামি লীগের পক্ষ থেকে একটি গোপনে নাকি বৈঠক করে হয়েছিল। এমন তথ্য জানিয়েছেন আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের। তবে এই বৈঠকে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন তাই নয, ছাত্রলীগের বহু নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
এমনকি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওয়াসিম কুমার উকিল, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, এবং সাদ্দাম হোসেন, আল নাহিয়ান খান জয়, গোলাম রব্বানী, লেখক ভট্টাচার্য, শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এছাড়া, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং সোহানা সাবা।
এই বৈঠকে নাকি দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার বৈঠক চলেছে। এমনকি আরও যাতে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ে, তারই চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সমস্ত দায়িত্ত্ব ভাগ করে দেওয়া হয় উপস্থিত কর্তাদের।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশে অনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ। তার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর আসছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, গোপন বৈঠকে দেশ বিরোধী আলোচনার খবর যদি সত্যি হয়, তবে অনেক আগেই গোটা দেশে বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি করা যেত। এমনিতেই বাংলাদেশে থেকে থেকে যেভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে, তাতে নতুন করে আওয়ামী লীগ কেন কলকাঠি নারবে? কারণ এতে নতুন করে সরকার গঠন করতে সমস্যায় পড়তে হবে আওয়ামী লীগকে।
Discussion about this post