আবারও উত্তাল ঢাকা। আবারও রাজপথে ছাত্ররা। বিক্ষোভ, মিছিল, প্রতিবাদে মুখরিত বাংলাদেশের রাজপথ। ফের একবার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহির্প্রকাশ। উস্কে দিল জুন-জুলাইয়ের স্মৃতি। প্রবল চাপে ইউনুস।
জানা যাচ্ছে, জুন জুলাইয়ের গণ অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের স্বীকৃতি এবং চিকিৎসার দায়িত্ব ও পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ছিল সরকারের। কিন্তু ছয় মাস কেটে যাওয়ার পরও তা ঘটেনি। এর জেরেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনে নামেন তারা। প্রতিবাদ করেন মোহম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে। যদিও আন্দোলনের খবর আসতেই ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ইউনূসের বাহিনী। কিন্তু পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে মোহম্মদ ইউনূসের বাসভবনে ঢুকে পড়ে আন্দোলকারীরা। তাণ্ডব চলল গোটা রাত। তাদের দাবি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই। জুন জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের পুনর্বাসন দিতে হবে। চিকিৎসার খরচ দিতে হবে। তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে। এমনকি তারা জানায়, ভরসা করে গোটা দেশের ভার দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারকে। কিন্তু সেই সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ। এমনকি কাউকে বলতে শোনা যায়, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করাই ভুল ছিল।
অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনা কে সাক্ষী রেখে বহু মানুষ বুঝতে পারছেন, সিংহাসনে বসে দেশ চালানো কতটা চ্যালেঞ্জিং। রাতারাতি কোনও এক ব্যক্তিকে ক্ষমতার আসনে বসানো কতটা ভুল। আর সেই ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বৈদেশিক মুদ্রা আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমদানি, রপ্তানি, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বড়সড় ক্ষতির মুখে গোটা দেশ। শুধু তাই নয়, দেশের অন্দরে একাধিক জ্বলন্ত সমস্যা। চাল আগাম টানেনি অন্তবর্তী সরকার।
এমনকি আন্দোলনকারীদের বলতে শোনা যায়, দ্রুত সংস্কার করা উচিত। অর্থাৎ এতদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত নির্বাচনের চাপ দিচ্ছিল মোহাম্মদ ইউনুসকে। এবার ছাত্ররদেরও একই দাবি। কাজেই নতুন বছর পড়তেই সরকার চালানো ইউনূসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এমনকি রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, যেভাবে শেখ হাসিনা ছাত্রদের আন্দোলনের যেতে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়লেন, সেই একই পরিণতি কি হতে চলেছে মোহাম্মদ ইউনূসের?
Discussion about this post