ভারত সফর করেছেন তুলসী গাবার্ড। যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান। এমনকি বৈঠক করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। এই বৈঠক থেকে কি কি উঠে এসেছে, সেই নিয়ে দু পক্ষই সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এখন যা পরিস্থিতি, তা থেকে বেশকিছু বিষয় অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরপরই তুলছি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বেশি করে মন্তব্য করেছেন। সেই মন্তব্য থেকে এবার পরিষ্কার হয়ে গেল বাংলাদেশ সম্পর্কে আমেরিকা অবস্থান ঠিক কি।
বাংলাদেশের খিলাফত গড়ার ডাক দিচ্ছে বেশ কিছু সংগঠন। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তুলসী বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যতদিন এগোচ্ছে বাংলাদেশে উদ্বেগ জনক খবর ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। তুলসি গ্যবর্দ সরাসরি বাংলাদেশকে জঙ্গি বিষয় নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, এরপর যদি বাংলাদেশ সতর্ক না হয়, তবে আমেরিকা কড়া পদক্ষেপ করবে।
মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠক থেকে ঠিক হয়ে গেল আগামী চার বছরের জন্য আমেরিকা ও ভারতের গুরুত্বের বিষয়টি। তবে গোপনীয়তার সঙ্গে প্রথম বৈঠক হল অজিত ডভালের সঙ্গে তুলসি গ্যবাদের। এমনকি জানা গিয়েছে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আরও একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ভারত ও আমেরিকার বিভিন্ন অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। তবে সবথেকে বেশি আলোচিত হচ্ছে, তুলসি গ্যাবার্ড এবং অজিত দোভালের বৈঠক।
সূত্র বলছে, এই বৈঠক থেকে ভারত আমেরিকার কৌশলগত বোঝাপড়া করা হয়েছে। পিটিআই একটি প্রতিবেদনে সূত্র কে উদ্ধিত করে বলেছেন, এই বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত এবং আমেরিকার মাথা ব্যথার একটি ইস্যু সন্ত্রাসবাদ বা অনুপ্রবেশকারী। কোনভাবেই দেশে ঢুকে যাতে অনুপ্রবেশকারীরা বা কোনও জঙ্গি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে না পারে, সেই নিয়েই জোরদার নিরাপত্তার কাজ চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে দুই দেশ দুই দেশকে সহযোগিতা করবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
Discussion about this post