বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন, দেশে হচ্ছেটা কি? তার কারণ, বুধবার রাতে গোটা দেশবাসী তথা গোটা বিশ্ববাসী দেখল, ৩২ নম্বরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে ফেলা হল। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে স্লোগান, হাসিনা সরকারকে স্বৈরাচারী বলে পোস্টার। এখানেই থেমে নেই, আওয়ামী লীগের বহু নেতা-নেত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন খবরও সামনে এসেছে। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ এইভাবে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হল, কিন্তু সেখানে কোন পুলিশ নেই। সেনাবাহিনী গেলেও তারা কোনও দায়িত্ব পালন করেনি বা করতে দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনী ছিল নীরব দর্শক। তবে কারা এই ঘটনা উস্কাচ্ছে, কারা এর পিছনে রয়েছে, কে বা কারা মাস্টার মাইন্ড, তা আঁচ করতে পারছেন অনেকেই।
একটা বিষয় তো পরিষ্কার, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিম্নমুখী। বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে। লগ্নি নেই। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আর সেই দেশেই রাজনৈতিক অস্থিরতা উত্তরোত্তর বেরিয়ে চলেছে। সংস্কারের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা, তাও এখন স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছে। প্রথমে বলা হচ্ছিল, এই বছরের ডিসেম্বর মাসেই করা হবে। এখন সেই প্রসঙ্গ উঠছে না। অর্থাৎ নির্বাচনের কোন হেলদোল নেই এই সরকারের। যদিও রাজনৈতিক দলগুলি চাপ সৃষ্টি করছে অন্তবর্তী সরকারকে। তবে সেটা এখন কবে হবে, তা প্রশ্নতীত।
তবে রাজনৈতিক মহরের একাংশ মনে করছেন, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে কলকাঠি নাড়ছে পাকিস্তান। তারাই এর জন্য অর্থ খরচ করছে। তারা বিএনপি বা অন্যান্য বৈধ রাজনৈতিক দলগুলিকে বিশ্বাস করছে না। তারা চাইছে, ছাত্ররা আরো বেশি করে পোক্ত হোক। তাদের হাতে যখন চলে আসবে গোটা দেশকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, ঠিক সেই সময় নির্বাচন হবে। কারণ তখন প্রবলভাবে সম্ভাবনা রয়েছে এই ছাত্র নেতারাই জিতবে। কিন্তু অন্যান্য রাজনৈতিক দল যদি জেতে বা ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের বাড়বাড়ন্ত কমে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে।
অর্থাৎ গোটা বাংলাদেশটি প্রবল সংকটের মুখে। বর্তমানে এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে, সেই পরিস্থিতি অটুট থাকবে, যদি ছাত্ররা ক্ষমতায় আসে।
Discussion about this post