যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমস্ত আর্থিক সাহায্য বন্ধের ঘোষণা করেছে। এই নির্দেশ মার্কিন দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে আরও একটি দেশ বাংলাদেশকে আর্থিক অনুদান বন্ধ করতে যাচ্ছে। খবর উঠে আসছে, সুইজারল্যান্ড সমস্ত আর্থিক সাহায্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নাকি নিয়ে ফেলেছে। সেই তালিকায় রয়েছে আলবেনিয়া এবং জাম্বিয়াও। ফলে চারিদিক থেকে প্রবলভাবে বিপাকে পড়েছেন মোহম্মদ ইউনূস। অন্যদিকে, আমেরিকা শুধুমাত্র বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করেছে তাই নয়, পাকিস্তানকেও আর্থিকভাবে সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে।
সূত্রের খবর, আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট যে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করেছে, তার ফলে পাকিস্তানের একাধিক প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, পরিবেশ। এছাড়াও পাকিস্তানের একাধিক বিষয়ের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আমেরিকার তরফে বলা হয়েছে, আমেরিকা আপাতত ৯০ দিনের এই আর্থিক সাহায্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন ফের নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ছেঁটে দেওয়া হয়েছে ৩৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিপুল পরিমাণে ত্রাণ বন্ধের জেরেই প্রবলভাবে সমস্যায় পড়তে চলেছে একাধিক দেশ। যার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। সেদেশের ফেডারেল কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ-সহ প্রভাব পড়বে আলবেনিয়া ও জামবিয়াতেও। আপাতত ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই সহযোগিতা চালানো হবে। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতা পাবে না এই দেশগুলি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কিছুদিন আগেই মোহাম্মদ ইউনুস সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছিল সেটি সরকারিভাবে নয়। ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে আসার পরই, সুইজারল্যান্ড সূত্র থেকে এমন খবর উঠে আসছে। অর্থাৎ বিদেশ থেকে কিছুই আনতে পারেননি মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের জন্য।
এদিকে আর্থিকভাবে দুর্বল বাংলাদেশ এখন কি করবে, কিভাবে কার থেকে অর্থ সাহায্য করে, সেই নিয়ে প্রবল চিন্তায় পড়েছে। বিকল্প পথ হিসাবে আলেক্স সরসের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনুস। গোপন সূত্রে খবর, সরস ফাউন্ডেশন থেকে অর্থিকভাবে সাহায্য পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু এই সরস ফাউন্ডেশন ট্রাম্প বিরোধী বলে পরিচিত। মহম্মদ ইউনূস কি এবার ট্রাম্প বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করেছেন। এই প্রশ্নই বেশি করে উঠছে। আর যদি তা সত্যি হয়, তবে ঘোর বিপদে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ।
Discussion about this post