বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাড়ছে জঙ্গিদের দাপট, বাংলাদেশ হয়ে উঠছে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য। এতে কোনও তাপ উত্তাপ নেই সেদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের। দেখেও না দেখার ভান করছে তারা। আদতে জঙ্গিদের বেড়ে ওঠার মদত যোগাচ্ছে সরকারই, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু আর কতদিন? কতদিন সময় লাগবে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র থেকে বর্তমান সরকারের বিদায় হতে?
ভারত সফর করলেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবর্ড। বৈঠক করেছেন বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে। এমনকি বৈঠকে বসে ছিলেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। বৈঠকের পর ঠিক কি কি বিষয়ে কথা হল সেটা দু দেশের পক্ষ থেকে সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়নি ঠিকই, তবে মনে করা হচ্ছে দু দেশের নিরপত্তা সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই পযন্ত ঠিক ছিল। এরপর ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎ করে তুলসী কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। যা থেকে ঘুম উঠেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের।
তুলসী আমেরিকা এবং ভারতের নিরাপত্তার জনিত বিষয় নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন বাংলাদেশে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত চরমে। এমনকি সেখানে খিলাফত গড়ার ডাক দিচ্ছে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন। সেটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের এই মুহূর্তের পরিস্থিতির কথা অজিত ডোভাল জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানকে। সেটা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশের মানুষও। তাই বাংলাদেশের তরফে বলা হচ্ছে, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কে মিথ্যে প্রচার করেছে তুলসি গ্যাবর্ড-এর কাছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো এমন শক্তিশালী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান, শুধুমাত্র ভারতের কথাতেই উদ্বুদ্ধ হয়ে গেলেন? ভারতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি বিশ্বাস করে ফেললেন? তার কাছে কি বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো তথ্যই ছিল না? এটা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ঠিক একই বিষয় ঘটেছিল যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তখনও বাংলাদেশের তর্কে বলা হয়েছিল, ভারতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ এটা বুঝতে পারছে না, যে মার্কিন প্রশাসন বা ট্রাম্পের মতো ব্যক্তিত্ব কখনোই শোনা কথাতে কান দেন না। উল্টে এই সমস্ত মন্তব্য করে, নিজের বিপদ নিজেই দেখে নিয়ে আসলেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনও কড়া পদক্ষেপ করে, তবে সামলাতে পারবেন তো তারা? আসলে ট্রাম্প বা তুলসি চাইলেন নিমেষেই ইউনূসের পতন হয়ে যাবে। যা কেউ আটকাতে পারবে না, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জঙ্গি কার্যকলাপ কখনওই সমর্থন করেন না ট্রাম্প। পাশাপাশি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমস্যা হল, বিপুল পরিমাণে অনুপ্রবেশকারী, যা কোনও দেশই রাখতে চায় না। এটা দেশের কাছে বড় বোঝা। ফলে এর বিরুদ্ধে সিদ্ধ হস্তে আসরে নামবেন ট্রাম্প এবং মোদি, সেটা বলাই বাহুল্য।
এখন দেখার, বাংলাদেশের এই অরাজক পরিস্থিতির কথা জেনে কি পদক্ষেপ করেন তুলসি!
Discussion about this post