সারাক্ষণ মনের মানুষটিকে ফোন করতে ইচ্ছে করে? সারাদিনে ২৪ ঘণ্টাই খোঁজ নিচ্ছেন তার? মনের মানুষটি কখন খাচ্ছে , কি করছে এই সমস্ত জানার ইচ্ছে সবারই থাকে। প্রেমে পড়লে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যদি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে আসে, অর্থাৎ দিনে ১০০ বার ফোন করছেন তাকে। তাহলে সম্পর্কে টানা পোড়েন চলে আসে। ভালোবাসার মানুষটি কোথায় আছে, কি করছে, এইসব খোঁজ নেওয়া ভালো, তবে বিশেষ কিছু পর্যায়ে সন্দেহের জায়গায় চলে যায় নাতো? তাহলে এখনি সতর্ক হন।
ভালোবাসার মানুষের খবর নেওয়া টা স্বাভাবিক, কিন্তু দিনে অজস্র বার ফোন এবং সে কোথায় যাচ্ছে , কি করছে সে গুলো নিয়ে মনের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধলে আপনি হয়ত ‘লভ ব্রেন ডিসঅর্ডার’ নামক রোগের আক্রান্ত।
এটি ব্রেনের স্বাভাবিক ছন্দ কে বিঘ্নিত করে, ফলে সারাক্ষণ সেই মানুষটি কি করছে, না করছে, বারবার তাকে ফোন করা, নিজের অন্যান্য কাজ ফেলে ২৪ ঘণ্টাই তার সাথে ফোনে কথা বলার ইচ্ছা হতে পারে।
এ বিষয়ে চিনের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন থেকে একটি খবর সামনে আসে, জিওয়াউ নামে ১৮ বছরের এক তরুণী শুরু থেকেই মানসিক ভাবে তার প্রেমিকের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। প্রেমিক কখন কোথায় রয়েছেন জানতে বার বার তাঁকে ফোন করতেন। এক দিন ১০০ বারের বেশি ফোন করে ফেলেছিলেন প্রেমিককে। অতিষ্ঠ হয়ে যুবকও ফোন তোলেননি। তাতেই ঘটে বিপত্তি । প্রেমিক ফোন না তোলায় সেই তরুণী এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে বাড়ির জিনিসপত্র পর্যন্ত ভাঙচুর করতে শুরু করে। এই ঘটনার পর কার্যত ভয় পেয়ে পুলিশে খবর দেন যুবক।
এবং পুলিশ আসার খবর পেয়ে জিওয়াউ ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। পরে পুলিশের তৎপরতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়, এবং হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, ডাক্তারি পরিভাষায় খুব কম প্রচলিত শব্দ ‘লাভ ব্রেন ডিসঅর্ডার ‘ । প্রেমের আসক্তিতে মানসিক এরকম বিকৃতিতে ‘বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’-ঘটে। ফলে নানান রকম সামাজিক ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন সেই ব্যক্তি। চিকিৎসকের আরো দাবি, এই ধরনের রোগের বিশেষ কারণ হলো অতীতের কোনো খারাপ ঘটনা বা স্মৃতি।
জিওয়াউ এরকম কোনো খারাপ ঘটনার কথা চিকিৎসককে জানাতে পারেন নি। কিন্তু চিকিৎসক জানান ছোট বেলায় কারুর বাবা – মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না হলে , সেই খারাপ স্মৃতি থেকেই এই রকম পরিস্থিতি মাঝে মধ্যেই হতে পারে।
২০১৯ সাল থেকে ২০২৪, গত পাঁচ বছরে একাধিক বার বউবাজার নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। আর দীর্ঘ দিন ধরেই...
Read more
Discussion about this post