বাঁকুড়া: এক আদিবাসী মহিলার জীবন সংগ্রামের কাহিনী। টোটো চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের অলকা মুর্মু। শহরের বুকে এই ছবি অহরহ দেখা মিললেও এক গাঁয়ের বধূর নতুন জীবিকা শুরুর পথটা সহজ ছিল না।
আজ, শুক্রবার বিশ্ব আদিবাসী দিবস। এই দিনে উঠে এল অলকা মুর্মুর জীবন সংগ্রামের কাহিনী। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত রানিবাঁধ ব্লকের বাসিন্দা অলকা। আদতে চাষির ঘরের বধূ সে। ঘরে রয়েছে অসুস্থ শাশুড়ি ও দুই ছেলে। স্বামী জমিতে চাষাবাদ করেন। সংসারের হাল ধরতে বছর দেড়েক আগে টোটো চালাতে শুরু করেন অলকা। একজন গায়ের বধূর পক্ষে এই যাত্রা সহজ ছিল না। আড়ালে আবডালে নানা বাঁকা কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে। তবে সংসারের পানে চেয়ে আদিবাসী মেয়েটি কর্ণপাত করেনি সেইসব কথায়। আজ টোটো চালিয়ে স্বামীর সঙ্গে সংসারের হাল ধরেছে সেও।
ছেলেদের পড়াশোনা, অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসার খরচ, দৈনন্দিন সংসারের খরচ। সব মিলিয়ে খরচ বেড়েছে অনেকটাই। সংসারের বাড়তি খরচ সামাল দিতে বড় ভরসা অলকার টোটো চালনা। নিজে বেশি দুর পড়াশোনা করতে পারেননি। তাই সন্তানদের পড়াশোনার জন্য তাঁর বাড়তি আগ্রহ রয়েছে।
টোটো চালালে কি হবে। একজন গৃহবধূর মতো সংসার সামলে তবেই টোটো নিয়ে বাইরে যান অলকা। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির যাবতীয় কাজ তাঁকেই সারতে হয়। টোটো চালিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৫০০ টাকা মতো রোজগার হয়। তাই বা কম কি। অলকা জানিয়েছেন, রানিবাঁধ বাজারের সহকর্মীরা তাঁকে এই বিষয়ে যথেষ্ট সহায়তা করেন।
আদতে অলকা এক জ্বলন্ত উদাহরণ। সকল প্রবাদ যে বইবন্দি নয় তা প্রমাণ করছেন। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। আদিবাসী সমাজের কাছে তিনি এক অনুপ্রেরণা
শিলিগুড়ি করিডোরের কাছে বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ ক্যাম্পে হামলার ঘটনা। গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গেল এক অনুপ্রবেশকারীর। এই ঘটনা নিয়ে ভারতের সীমান্ত...
Read more
Discussion about this post