৫ ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর মনে করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতাকর্মীরা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এখন খবর আসছে, তারা টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। টুংগীপাড়ার অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ এবং আতঙ্ক জনক। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছছে, যেখানে থানা, পুলিশকে পাহারা দিচ্ছে সেনাবাহিনী। টুংগীপাড়া থানার সামনে দেখা যাচ্ছে, সারারাত সেনাবাহিনী সাজোয়া যান। এমনকি পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে, তাদেরও কোনও হদিস মেলেনি এখনও পর্যন্ত। এই ঘটনায় ৫ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে পুলিসের পক্ষ থেকে। খবর সূত্রে।
এদিকে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। জনসংযোগ দিয়ে শুরু করেছে তারা। আর এই লিফলেট বিলি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। পুলিশের তরফ থেকে বাধা দেওয়া হয়। শুরু হয় বচসা। প্রবল উত্তেজনা। এরপরে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, যারা লিফলেট বিলি করছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়ে যায় তুমুল বিতর্ক। যে দল এখনো পর্যন্ত সরকারের দ্বারা স্বীকৃত, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি, তবে কেন এই ধরনের মন্তব্য এবং কার্যকলাপ।
তবে টুঙ্গিপাড়া এবং গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের যাতায়াত দেখে স্পষ্ট, নির্দিষ্ট করে ওই এলাকাগুলিতেই তারা লুকিয়ে রয়েছেন। যখনই দলের সর্বোচ্চ নেত্রী ঘোষণা করেছেন কর্মসূচির, তখনই তারা বেরিয়ে আসছে এবং দলের কাজে যোগ দিচ্ছে। এখানে স্পষ্ট, বাংলাদেশের অন্দরে আওয়ামী লীগের সংগঠন কোনও ভাবেই দুর্বল হয়ে পড়েনি। বরং মাঝের এই ছটা মাস আরো বেশি করে সংগঠন মজবুত হয়েছে। দেশের বাইরে থেকেও শেখ হাসিনা ছক কষে গিয়েছেন। আর তারই ফলপ্রসো ফেব্রুয়ারি মাসের এই দীর্ঘ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি। যা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই কর্মসূচি সফল হলে আরও পরিষ্কার হবে, আওয়ামী লীগের অবস্থান। এবং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ।
তবে বারবার এই টুঙ্গিপাড়া এবং গোপালগঞ্জের প্রসঙ্গ উঠে আসছে, যেখানে বেশি করে সক্রিয় হয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে কি বাংলাদেশে নতুন ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠার জন্য এই দুটি এলাকাকে বেছে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী? এখান থেকেই কি দেশের হয়ে কাজ শুরু করবেন শেখ হাসিনা? যদিও কড়া নিরাপত্তায় রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এখন দেখার, সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে কিনা তারা! পাশাপাশি
আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচি কতটা সফল হয়!
Discussion about this post